‘ফণী’র প্রভাবে ফুটছে বাংলা! পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে প্রবল দাবদাহে হাঁসফাঁস জনজীবন
ফণীর প্রভাব কাটার পরই রাজ্যে প্রবল দাবদাহে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। ভোটের মধ্যেই এই অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি।
ফণীর প্রভাব কাটার পরই রাজ্যে প্রবল দাবদাহে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। ভোটের মধ্যেই এই অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ৩৬ থেকে ৩৮-এর মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করলেও, পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আহামী ৪৮ ঘণ্টার আরও বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
আলিপুর হাওয়া অফিস ফণীর আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল এই অসহ্যকর গরমের। ফণী চলে গেলে যে দক্ষিণবঙ্গে অস্বস্তির গরম পড়বে এবং তা উত্তরোত্তর বাড়বে তা জানিয়ে রেখেছিলেন আবহবিদরা। তাঁদের সেই পূর্বাভাস মিলে যাচ্ছে ফণী চলে যাওয়ার পর থেকেই গরমের মাত্রা বেড়ে চলায়।
বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম ও বর্ধমানে মারকাটারি ইনিংস শুরু করেছে গরম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪০ ডিগ্রি। আগামী দুদিন তা বেড়ে ৪২ ছুঁইছুঁই হয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া দফতর আপাতত দুদিনের মধ্যে কোনও স্বস্তির খবর নেই বলে জানিয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আকাশে নিম্নচাপ দানা বেঁধেছে। ফলে সেখানে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে দুদিন গরম দাপট দেখানোর নিম্নচাপ তৈরি হলেও হতে পারে, তবে তার নিশ্চয়তা নেই। আপাতত অসহ্য গরমে পুড়তে হবে বাংলাকে। এই আবহাওয়া চলবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা।