দুদিনের শ্রাবণ ধারার মধ্যেই এল স্বস্তির খবর, দুর্যোগ রুখতে নবান্নে চালু হেল্পলাইন
শুক্রবার থেকেই টানা বৃষ্টি চলছে। শ্রাবণের শেষে এই অঝোর ধারার বৃষ্টি কাঁদিয়ে ছেড়েছে বাংলাকে। জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি নেই বাংলা ও বাঙালির।
শুক্রবার থেকেই টানা বৃষ্টি চলছে। শ্রাবণের শেষে এই অঝোর ধারার বৃষ্টি কাঁদিয়ে ছেড়েছে বাংলাকে। জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি নেই বাংলা ও বাঙালির। এই অবস্থায় আলিপুর আবহাওয়া দফতর আরও ২৪ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। তবে কলকাতা ও শহরতলিতে বিক্ষিপ্তি বৃষ্টি হচ্ছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবারও ভারী বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনার পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও দুই বর্ধমানেও। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ শক্তি বাড়ানোয় এই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই দুর্যোগ ঠেকাতে নবান্নে চালু হয়েছে হেল্পলাইন। হেল্প লাইন নম্বর হল ০৩৩-২২৫৩৫১৮৫।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে উপকূলবর্তী এলাকার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে, দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর, বকখালিতে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পর্যটকদেরও বলা হয়েছে ফিরে আসতে।
শনিবার কলকাতায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। একদিনে বৃষ্টির পরিমাণ ১৭৬ সেন্টিমিটার। স্বাভাবিকের তুলনায় এই পরিমাণ প্রায় ১৬০০ শতাংশ বেশি। এবার বর্ষাকালভর বৃষ্টি হয়নি। ফলে ঘাটতি দেখা গিয়েছিল বৃষ্টিতে। এই একদিনের বৃষ্টি ঘাটতি ৫০ শতাংশ থেকে এক ধাক্কায় ২৩ শতাংশে নামিয়ে দিয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবারও বৃষ্টি হবে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কমবে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে। বৃষ্টি বাড়বে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে। কারণ ঘূর্ণাবর্ত রবিবার দুপুরের পর থেকেই সরে যাবে পশ্চিমের দিকে। সোমবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা। রবিবার তেমনই আভাস মিলেছে আবহাওয়ায়।