গুন্ডারাজ চালিয়ে এভাবে পারবে না, ত্রিপুরা আমরা জিতব নেক্সট! নবান্নে বসে বিপ্লবকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মমতা
ত্রিপুরায় পা দিয়েই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপর দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তদেরও হেনস্থা হতে হয়। এমনকী গ্রেফতার পর্যন্ত হতে হয়। তারপর নিগ্রহ
ত্রিপুরায় পা দিয়েই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপর দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তদেরও হেনস্থা হতে হয়। এমনকী গ্রেফতার পর্যন্ত হতে হয়। তারপর নিগ্রহের স্বীকার হন দেলা সেন-সহ দুই রাজ্যসভার সাংসদও। এবার কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হল তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে।
আর এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে রাজ্যে কোনও গণতন্ত্র বলে কিছু নেই বলে দাবি করা তাঁর।
আজ বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন সে রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে। পুলিশের পর্যন্ত মাথা ভাঙছে। এই অবস্থায় সেখানে গণতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই বলেও তোপ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের।
তবে এভাবে বেশিদিন চলবে না বলে তোপ তাঁর। বলেন, ত্রিপুরা দখল তৃণমূল করবে। কেউ আটকাতে পারবে না। কারজতব এদিন নবান্নে বসে এভাবেই সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন মমতা মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রত্যেকদিন ত্রিপুরা থেকে মানুষজন তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে যোগযোগ করছেন।
সম্প্রতি তাঁকে সে রাজ্যের প্রাক্তন এক বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন মমতা। অভিষেককে বিষয়টি দ্রুত দেখার জন্যে তিনি বলেছেন বলেও জানিয়েছেন মমতা। তাঁর দাবি, ত্রিপুরার মানুষও বাংলার সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন। কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবে বলে ফের একবার কথা দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
অন্যদিকে ত্রিপুরার কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, আমরা সে রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি দেখা করার সময় দেননি বলে অভিযোগ। আর এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের উদাহারণ টানেন মমতা। বলেন, এখানকার রাজ্যপাল ভালো। কথায় কথায় বিজেপিকে সময় দেয়। সন্ধ্যা হলে সবাই মিলে চলে যায় সেখাণে। আলোচনা চলে! কটাক্ষ মমতার।
উল্লেখ্য, তৃণমূল এবার ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে। সেইমতো প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক টিমের ২৩ সদস্যকে তৃণমূল সমীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল ত্রিপুরায়। তাঁদেরকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। এরপর সে রাজ্যে একাধিকবার তৃমুল নেতা কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলকে কোনও হোটেল দেওয়া হচ্ছে না। কোনও মাইক্রোফোন দেওয়া হচ্ছে না। আর এদিন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে হোটেল ঘন্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং করে রাখা হচ্ছে।
এরপর তিনি টুইট করে ক্ষোভ উগরে দিলেন ত্রিপুরায় বিজেপি পরিচালিত সরকারি প্রশাসনের বিরুদ্ধে।