গৌতম-বুদ্ধর দাবি, লোকসভায় অনেক ভালো ফল করবে সিপিএম
বামফ্রন্ট তথা সিপিএম কিছুদিন ধরেই বলে আসছে, লোকসভা ভোটে তারা ঘুরে দাঁড়াবে। সেই দাবিরই পুনরাবৃত্তি করে বুদ্ধবাবু বলেছেন, "গত বিধানসভা ভোটের ফল পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ছিল ৩০ লক্ষ। এখন সেটা কমেছে। পঞ্চায়েত আর পুরভোটে ওরা ভালো ফল করেছিল। কিন্তু তাতে জনসমর্থন প্রতিফলিত হয়নি। ভোটের আগে ও ভোটের দিন তৃণমূল কংগ্রেস গোলমাল পাকিয়েছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটে সেটা হবে না। আমরা সন্ত্রাসের মোকাবিলা করব। আমাদের অনেক সমর্থক ছেড়ে গিয়েছেন। আমরা তাঁদের কাছে যাচ্ছি। ভুলের কথা খোলাখুলি বলছি। বুঝতে পেরে অনেকে ফিরে আসছেন।"
সিঙ্গুর ইস্যুতে তাঁর সরকার কিছু ভুল করেছিল স্বীকার করে বুদ্ধবাবুর দাবি, "ভেবেছিলাম কারখানাটা হবে। শেষ পর্যন্ত রতন টাটাই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। বললেন, অবাঞ্ছিত অতিথি হয়ে থাকতে চান না। পরে জানতে পেরেছি, তিনি আগে থেকেই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছিলেন।"
আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা বহিষ্কৃত হওয়ার ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কি সিপিএমের খারাপ ফল হবে? বুদ্ধবাবুর সাফ জবাব, "না। আদর্শের ওপর ভিত্তি করে শৃঙ্খলা নিয়েই একটা কমিউনিস্ট পার্টির চলার উচিত। দল সেটাই করেছে।"
এদিকে, বুদ্ধবাবুর মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। তিনি বলেছেন, "বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কী এমন মাতব্বর! ওঁকে তাড়ালে তবেই দল ঘুরে দাঁড়াবে। উনি তো কখনও রাস্তায় নেমে সংগঠন করেননি। কাকার নাম ভাঙিয়ে প্রক্সি লিডার হয়ে এসেছেন।"
তবে বুদ্ধবাবুর কথার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে গৌতম দেবের গলায়। তিনি বলেন, "লোকসভা ভোটে ভালো ফল হবে। উত্তর ২৪ পরগনার সংখ্যালঘু ভোট পেয়েই আমরা বেশির ভাগ পঞ্চায়েত দখল করেছি। লোকসভায় সংখ্যালঘুদের ভোট পাবেন না মমতা। এতই যদি উনি শক্তিশালী হন, তা হলে গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, অসমের জনসভাগুলো বাতিল করে দিলেন কেন?"
যদিও বুদ্ধ, গৌতমের দাবিকে খারিজ করে দিয়েছেন মুকুল রায়রা। তাদের কটাক্ষ, দিবাস্বপ্ন দেখছে সিপিএম। বরং ২০০৯ সালের চেয়ে বেশি আসনে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস।