বাংলায় শাসক দলের 'অত্যাচার' বন্ধে শীঘ্রই পদক্ষেপ, জানালেন রাজনাথ সিং
এমনই কড়া মনোভাব পোষণ করলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। গতকাল সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমনটা জানান তিনি।
ইদানীং পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালিতে এসে ঘুরে গিয়েছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তারা বিস্তারিত রিপোর্টও দিয়েছিল রাজনাথ সিংকে। কিন্তু তার পরই তপন শিকদারের মৃত্যু, গোপীনাথ মুন্ডের অকালপ্রয়াণ ইত্যাদিতে তিনি এমনই বিহ্বল হয়ে পড়েন যে, কিছুই ভাবার সময় পাননি। শনি ও রবিবার তিনি দিল্লিতে ছিলেন না। সোমবার তাই একটু ফুরসৎ মেলে। আর তখনই জানিয়ে দেন এ কথা।
পশ্চিমবঙ্গে দলের সংগঠন দেখভালে যিনি দায়িত্বে রয়েছে, বিজেপি-র সেই নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং এই পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, "রাজনাথজি শীঘ্রই কড়া পদক্ষেপ নেবেন। ওখানে আমাদের কর্মীরা মরছে। আমরা চুপচাপ বসে দেখতে পারি না। তৃণমূল কংগ্রেসকে সংযত হতেই হবে। তাদের অত্যাচার থামাতেই হবে। আসলে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে এই আক্রমণের কারণ হল, যাতে তাঁরা ভয়ে দল ছেড়ে দেন বা দলের কাজ না করতে পারেন!"
এটা সত্যি, পশ্চিমবঙ্গে এখন খুব দ্রুত উঠে আসছে বিজেপি। তাদের উত্থানে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘুম ছুটে গিয়েছে। সামনে কলকাতা পুরসভার ভোট। বিজেপি-র আশা, তারা এখানে অন্তত বিরোধী দলের মর্যাদা পাবে বামফ্রন্টকে পিছনে ফেলে। কলকাতা পুরসভার ভোট তাদের কাছে সেমিফাইনাল। ফাইনাল হল ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া বিজেপি। আর তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের ফাটাফাটি হচ্ছে। 'সাম্প্রদায়িক' তকমা যে আর কাজ করছে না, তা বিলক্ষণ বুঝেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই গ্রাম বাংলায় দলে দলে মুসলিমরা বিজেপি-তে নাম লেখাচ্ছে। এতে দু'ভাবে ক্ষতি হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের। প্রথমত, বিজেপি-র সংগঠন মজবুত হওয়ায় তারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। দ্বিতীয়ত, মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের একটা অংশ চলে যাচ্ছে বিজেপি-র দিকে।