পিতৃপুরুষের তর্পণেও এবার আধুনিকতার ছোঁয়া, সৌজন্যে রাজ্যের পর্যটন দফতর
এতদিন পর্যন্ত প্যাকেজে পুজো দেখাতো রাজ্য সরকার। পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই রাজ্যের পর্যটন দফতরের তরফে নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শনার্থীদের বুকিং নিয়ে পুজো দেখানোর নিয়মের চল ছিল।
এতদিন পর্যন্ত প্যাকেজে পুজো দেখাতো রাজ্য সরকার। পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই রাজ্যের পর্যটন দফতরের তরফে নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শনার্থীদের বুকিং নিয়ে পুজো দেখানোর নিয়মের চল ছিল। এসি বা নন এসি বাসে করে কলকাতা ঘুরিয়ে পুজো দেখানো হতো রাজ্যের পর্যটন দফতরের উদ্যোগে। প্যাকেজে থাকতো প্রাতরাশ থেকে নৈশ ভোজ, মধ্যাহ্নভোজ এমনকি বিকেলের খাবারও। প্রবাসী দর্শনার্থীদের জন্য থাকতো সুব্যবস্থা।
এবার সেই প্যাকেজে জুড়লো নতুন পালক। মহালয়ার পুণ্যলগ্নে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করতে আসা ব্যক্তিদের জন্য 'প্রমোদতরী'র ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার।
প্রত্যেক বছরই গঙ্গার ঘাটগুলোতে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পনের জন্য হাজির হন অগনিত মানুষ। উত্তর কলকাতার বাগবাজার ঘাট, আর্মেনিয়ান ঘাট, বাবুঘাট ব্যারাকপুর গান্ধী ঘাট, মঙ্গল পান্ডে ঘাট-সহ বিভিন্ন ছোট-বড় ঘাটে এই তর্পনের কাজ মিটিয়ে ফিরে যান যে যার গন্তব্যস্থলে। এবার শুধু তর্পণ নয় তারপর থাকছে গঙ্গাবক্ষে ঘোরার সুযোগ ও। তর্পণ উপলক্ষে বিশেষ ট্যুর প্যাকেজের ব্যবস্থা করেছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম (West Bengal Tourism Development Corporation)।
এই
প্যাকেজের
মাধ্যমে
মহালয়ার
তর্পণ
করা
যাবে
প্রমোদতরীতে
চড়ে
গঙ্গাবক্ষে
ভাসতে
ভাসতে।
তারপর
থাকছে
ভুরি
ভোজের
ব্যবস্থাও।
তবে
তর্পণের
সামগ্রী
সঙ্গে
আনতে
হবে।
পর্যটন
উন্নয়ন
নিগমের
অফিসিয়াল
ওয়েবসাইটের
বিজ্ঞপ্তি
অনুযায়ী,
২৮
সেপ্টেম্বর
সকাল
সাড়ে
৭টার
মধ্যে
পৌঁছে
যেতে
হবে
বাবুঘাটে।
বাবুঘাট
থেকে
সকাল
৮টা
নাগাদ
ছাড়বে
সরকারি
প্রমোদতরীটি।
দক্ষিণেশ্বর
মন্দির,
বেলুরমঠ,
কুমোরটুলি
হয়ে
বেলা
৩টে
নাগাদ
ফের
বাবুঘাটে
ফিরে
আসবে
প্রমোদতরীটি।
সকাল
৮টা
থেকে
বেলা
৩টে
পর্যন্ত
এই
প্যাকেজ
ট্যুরে
প্রমোদতরীর
প্রত্যেকের
জন্য
রয়েছে
জলখাবার
আর
পঞ্চ
ব্যঞ্জনে
মধ্যাহ্নভোজের
বিশেষ
আয়োজন।
এই
প্যাকেজ
ট্যুরের
মাথাপিছু
খরচ
১,৬০০
টাকা।
এই
প্যাকেজ
ট্যুরে
অংশ
নিতে
হলে
বুকিং-এর
জন্য
যোগাযোগ
করতে
হবে
পর্যটন
দপ্তরের
অফিশিয়াল
ওয়েবসাইট
https://www.wbtdcl.com/-এ।