পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বিন্দুমাত্র সহায়তা করেনি এনআইএ-কে, রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে
গত ২ অক্টোবর খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ হয়েছিল। অধিকাংশ তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে দিয়ে তার পর এনআইএ-কে খবর দিয়েছিল পুলিশ। এনআইএ প্রাথমিকভাবে তদন্তও শুরু করেছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও সিআইডি এমন অসহযোগিতা শুরু করে যে, বিরক্ত এনআইএ তদন্ত বন্ধই করে দেয়। এমনকী, বর্ধমান থানার পুলিশ এনআইএ অফিসারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন: বর্ধমানে আরও এক জঙ্গিঘাঁটির সন্ধান, গ্রেফতার হয়নি কেউ
রাজ্য সরকার দোহাই দিচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা দেখবে পুলিশ। এখানে এনআইএ বা আইবি-কে দরকার নেই। প্রশ্ন হল, বর্ধমানের ঘটনা নিছক আইনশৃঙ্খলার সমস্যা নয়। দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছিল। পড়শি দেশ বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতা চালানোর ছক আঁটা হচ্ছিল বর্ধমানে বসে। যেখানে গোটা দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত, সেখানে রাজ্য প্রশাসন কেন অযৌক্তিক গোঁ ধরে বসে আছে, প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি।
পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেন, "পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা দিয়েছে, সেগুলো হালকা। দেশদ্রোহের মামলা রুজু করেনি। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে পুলিশ এ সব করছে। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবিধানিক শপথ নিয়েছিলেন দেশকে রক্ষা করার, ক্ষমতায় বসে সেই কর্তব্য তিনি ভুলে গিয়েছেন। দেশের সুরক্ষা নিয়ে কেউ এভাবে আপোশ করে, আগে দেখিনি।"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, খাগড়াগড় থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ তা ধ্বংস করে দিয়েছে। এতে প্রমাণ নষ্ট হয়েছে। যদিও পুলিশের বক্তব্য, সেটাই প্রামাণ্য পদ্ধতি। আসল ব্যাপার হল, উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় (ডিফিউজ) করা উচিত ছিল পুলিশের, ধ্বংস (ডেসট্রয়) করা ঠিক হয়নি। তা এনআইএ-র হাতে তুলে দিলে বরং ঠিক কাজ হত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, রিপোর্ট খতিয়ে দেখে রাজনাথ সিং খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।