'দিলীপ ঘোষ জোকার'! বিজেপির রাজ্যপ্রধানকে চেনা মেজাজে কোন কারণে খোঁচা জ্যোতিপ্রিয়র
বারবার বাংলায় ক্ষোভ বিক্ষোভের শিকার হচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির অভিযোগ গেমপ্ল্য়ান সাজিয়ে বারবার বঙ্গ বিজেপি প্রধানকে টার্গেটে রাখছে তৃণমূল। এদিকে, দলের বিরুদ্ধে বিজেপির একাধিক অভিযোগকে মাথায় রেখেই, ফের একবার চেনা মেজাজে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়লেন না রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
জ্যোতিপ্রিয়রা বিক্ষোভে সামিল
কয়লার বেসরকারীকরণ ও কোল ইন্ডিয়ার হেট কোয়ার্টার কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনার বিরোধিতায় পথে নেমেছে তৃণমূল। তবে নেত্রীর নির্দেশ মতো নেতারা বিক্ষোভ নিজের বাড়ির সামনেই দেখাচ্ছেন। তেমনভাবেই নিজের বাড়ির সামনে বিক্ষোভে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। সেই মঞ্চ থেকে তিনি বলেন , চাইলে সল্টলেকে তিনি হাজার হাজার কর্মী সমর্থক আনতে পারতেন, তবে তা তিনি করবেন না, কারণ নেত্রীর নির্দেশ নেই।
জ্যোতিপ্রিয়র তোপ বিজেপিকে
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন যে, আম্ফানের ত্রাণের টাকা বিজেপি আত্মসাৎ করছে। বিজেপি নেতারা কেন্দ্রের থেকে আসা টাকা নিজেদের আত্মীয় ও নিজেদের লোকজনকে দিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপি
বিজেপির আওতায় রাজ্যের ৪ টে গ্রাম পঞ্চায়েত । জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি,তৃণমূলের ১৮৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে যদি কিছু দুর্নীতি হয়ে থাকে, তার সমান দুর্নীতি বিজেপি শাসিত ৪ টে গ্রাম পঞ্চায়েতে হয়েছে। ত্রাণের টাকা বিলি নিয়ে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বিজেপি শাসিত গ্রাম পঞ্চায়েতে।
' দিলীপবাবু অশিক্ষিতের মতো কথা বলছেন.. '
এদিকে, সাংবাদিকরা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দিলীপ ঘোষ নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রশ্ন ওঠে মেদিনীপুরে ২৫ জন তৃণমূল নেতার সাসপেনশন নিয়ে। সেই সাসপেনশন নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ' দিলীপ বাবু গুনেছেন যে কতজন ছেড়েছেন। উনি তো গুনতে ভালোবাসেন.. হাপ প্যান্ট পরে গাছ কাটতে ভালোবাসেন.. অশিক্ষিত মানুষের মতো কথা বললে কী করে হবে.. উনিকি পঁচিশশো বাড়ি বাড়ি উনি কি ঘুরে এসেছেন?'
'দিলীপ ঘোষ ইজ ইক্যুয়েলটু জোকার '
এদিকে , জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'দিলীপ বাবু জোকারে পরিণত হয়ে গিয়েছেন। দিলীপ বাবু ইজ ইক্যুয়ালটু জোকার ..'। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, দিলীপ ঘোষ যা বলেছেন, তা হাস্যকর। পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, দেশে করোনা নিয়ে এমন পরিস্থিতি হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য। মোদী যদি ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন না কের ১ এপ্রিল থেকে করতে লকডাউন, আর মাঝের সময়ে সমস্ত শ্রমিককে বাড়ি চলে যেতে বলতেন, তাহলে এমন খারাপ পরিস্থিতি হত না।