ফের মমতাকে খোঁচা দিয়ে টুইট রাজ্যপাল ধনকড়ের! আম্ফান আবহেই জোর রাজনৈতিক তরজা
আম্ফান বিধ্বস্ত রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক হাজার কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেন তিনি। এরপরই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আর সেখানেও কটাক্ষের সুর।
রাজ্যপালের টুইট
এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, সংবিধানে দ্বন্দ্বমূলক অবস্থানের কোনও জায়গা নেই। পারস্পরিক সহযোগিতাই কাম্য। আশা করি, এই সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় থাকবে। এর জেরে আম্ফান ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন সামগ্রিকভাবে উপকৃত হবেন।
মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে আকাশপথে সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তাঁদের সঙ্গে বসিরহাটে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। সেখানেই রাজ্যের জন্য এক হাজার কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি আম্ফানে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলেন।
তৃণমূলের তৎপরতা ও স্বচ্ছতার উপর প্রশ্ন দিলীপ
এনিয়ে রাজ্য়ের গেরুয়া শিবির শাসক দলের তৎপরতা ও স্বচ্ছতার উপর প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া হোক । নাহলে আয়লার মতো পরিস্থিতি হবে। কেউ টাকা পাবে না।'
মমতাকে রাজ্যপালের খোঁচা
এরপর আজ মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে রাজ্যপাল টুইটারে লেখেন, 'রাজ্যের মঙ্গলের জন্য আশার আলো দেখা যাচ্ছে। তবে মনে রাখতে হবে আমাদের সংবিধানে দ্বন্দ্বমূলক অবস্থানের কোনও জায়গা নেই। পারস্পরিক সহযোগিতাই কাম্য। কারণ এই সহযোগিতার অভাবেই এর আগে রাজ্যে পিএম কিষান যোজনা কার্যকর করা হয়নি। যার জেরে রাজ্যের ৭০ লক্ষ কৃষকের প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত যোজনাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে , যার জেরে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বিধ্বস্ত।'
রাজ্য-কেন্দ্র সমন্ময়ের কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল
দিনকয়েক আগেও একই প্রসঙ্গে টেনে রাজ্যপাল একটি টুইট করেছিলেন। লিখেছিলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, রাজ্যে পিএম কিষান যোজনা কার্যকর করা হোক। যাতে রাজ্যের কৃষকরা কিষান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন। এই যোজনা কার্যকর না করার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৭০ লক্ষ কৃষকের প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। যদিও দেশের অন্যত্র কৃষকরা এর সুফল ভোগ করছেন।'
লাদাখের চিন সীমান্ত পরিদর্শনে সেনাপ্রধান, পাঁচ দফা 'ব্যর্থতা'-র পর লোপ্রোফাইল সফর নিয়ে জোর জল্পনা