জিএসটি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব জারি, সীতারমনকে চিঠি দিয়ে কী জানালেন অমিত মিত্র?
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি লিখে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকার দাবি জানালেন। ১৩ নভেম্বর এই নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন অমিত মিত্র। পাশাপাশি তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের বেহাল দশার কথা মাথায় রেখে রাজ্য কেন্দ্রের প্রস্তাবে রাজি।
রাজ্যের অর্থনীতির বেহাল দশা
সীতারামনকে চিঠি লিখে অমিত মিত্র বলেন, 'করোনা সংক্রমণ এবং আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় রাজ্যের অর্থনীতির বেহাল দশা। এই করুণ দশা বিবেচনা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি।' পাশাপাশি তিনি দাবি জানান, করোনার জেরে জিএসটি থেকে রাজ্যগুলির চলতি বছরে যে পরিমাণ আয় কম হবে, তার পুরোটাই কেন্দ্র নিজে ঋণ নিয়ে রাজ্যকে ঋণ দিক।
অমিত মিত্রের দাবি
অমিত মিত্রের বক্তব্য, 'কেন্দ্র ৫ শতাংশের কম সুদে ঋণ পায়। কিন্তু রাজ্যের ক্ষেত্রেই সেটা ৬.৮ শতাংশ সুদ দিতে হয়। এর ফলে রাজ্যের ঘাড়ে সুদে-আসলে অনেক বেশি ঋণের বোঝা চাপে।' লকডাউনের জেরে জিএসটি থেকে আয় কমে যাওয়ায় চলতি অর্থ বছরে রাজ্যগুলির প্রায় ১.৮২ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দরকার পড়ত। এর মধ্যে কেন্দ্র ১.১০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজ্যকে তৎক্ষণাৎ ঋণ দিয়ে দেবে। কিন্তু বাকি ৭২ হাজার কোটি টাকার সংস্থান করতে রাজ্যগুলিকেই বাজার থেকে ধার করতে হবে।
জিএসটি সংগ্রহের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রের বিশেষ উইন্ডো
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ সালের জিএসটি সংগ্রহের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্র একটি বিশেষ ঋণের উইন্ডো তৈরি করেছে। ২১টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জিএসটি কমপেনসেশনের জন্য অর্থমন্ত্রকের ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণের এই বিশেষ উইন্ডোর সুবিধা নেওয়ার পথ বেছে নিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি রাজ্যের জিএসটি কমপেনসেশন খাতে কোনও ঘাটতি নেই।
বিহার থেকে শিক্ষা নিলেন মমতা, ২৭ শতাংশ ভোটকে পাখির চোখ করে ২ লক্ষ বাইক দেওয়ার ঘোষণা