তুমুল রাজনৈতিক তরজার মাঝে আজ মাঝেরহাটের 'জয় হিন্দ' ব্রিজের উদ্বোধনে মমতা
হঠাৎই মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল রাজ্যে। বিজেপি এই ইস্যুতে রাস্তায় নেমেছিল ২৬ নভেম্বর। এই আবহেই প্রায় দুই বছর অপেক্ষার পর অবশেষে আজ চালু হতে চলেছে মাঝেরহাট ব্রিজ। উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ ডিসেম্বর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে ব্রিজ উদ্বোধনের চূড়ান্ত দিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, ব্রিজের নতুন নাম দেন 'জয় হিন্দ'।

দুর্গাপুজোর আগে মাঝেরহাট ব্রিজ চালু করার কথা ছিল
দুর্গাপুজোর আগে মাঝেরহাট ব্রিজ চালু করার কথা ছিল। কিন্তু, নবনির্মিত ব্রিজের বেশ কিছু কাজ বাকি থাকায় তা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি কাজ শেষ হয়েছে। এদিকে, মাঝেরহাট ব্রিজ দ্রুত চালু করার দাবিতে সম্প্রতি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়৷

মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে পুলিশ-বিজেপি খণ্ডযুদ্ধ
বিক্ষোভের জেরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয় বিক্ষোভকারীদের। তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে ওইদিন দাবি করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ যদিও, বিজেপির মিছিলকে নাটক বলে দাবি করেছিল শাসকদল। মাঝেরহাট ব্রিজ উদ্বোধনে দেরি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, রেল ছাড়পত্র না দেওয়ায় উদ্বোধনে দেরি হচ্ছে। যদিও এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা বলছেন বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ।

২০১৮-র ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়েছিল মাঝেরহাট ব্রিজের একাংশ
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়েছিল মাঝেরহাট ব্রিজের একাংশ। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। দ্বিতীয়বার যাতে ব্রিজ ভেঙে দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ৮০০ মিটার লম্বা সেতু তৈরি করার জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

সমস্যায় পড়েছিলেন বেহালা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষ
দুই বছর আগে মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর থেকে যাতায়াতে সমস্যায় পড়েছিলেন বেহালাসাবাসী-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষ। ১ ঘণ্টার পথ দুই ঘণ্টার বেশি লেগে যেত। এনিয়ে এতদিন বেশ সমস্যার মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছিল নিত্যযাত্রীদের। ব্রিজের উদ্বোধনে এখন সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন সাধারণ মানুষ।
জোড়াফুল ছেড়ে পদ্মফুল? সৌগতকে উষ্মা প্রকাশের পর বিজেপি নেতার সঙ্গে ফোনালাপ শুভেন্দুর!