আজ আমরা আবেদন করলাম! আলাপন ইস্যুতে আইনের রাস্তাও খোলা আছে বলে ইঙ্গিত মমতার
আচমকা দিল্লিতে তলব মুখ্যসচিব আলাপণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগামী ৩১ তারিখ ১০ টার মধ্যে দিল্লিতে নর্থ ব্লকে গিয়ে কাজে যোগ দিতে হবে তাঁকে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রতিহিংসার পথে হেঁটে এহেন সিদ্ধ
আচমকা দিল্লিতে তলব মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগামী ৩১ তারিখ ১০ টার মধ্যে দিল্লিতে নর্থ ব্লকে গিয়ে কাজে যোগ দিতে হবে তাঁকে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রতিহিংসার পথে হেঁটে এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।
শুধু তাই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লিতে তলব নিয়ে মুখ খুলেছেণ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুখ্যসচিব বাঙালি বলেই কি এত রাগ? তাই কি বদলি? রাজ্যকে কাজ করতে দিচ্ছে না কেন্দ্র'', নবান্নে বললেন মমতা।
রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন বদলি
আগামী ৩১ তারিখ শেষ হচ্ছিল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মজীবন। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিবের কর্মজীবণ আরও তিনমাস বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই মতো গত কয়েকদিন আগেই কেন্দ্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যসচিবের মেয়াদ আরও তিনমাস বাড়ায়। কিন্তু হঠাত করেই ২৪ ঘন্টার নোটিশে দিল্লিতে তলব করা হয় আলাপণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তাতেই চরম ক্ষুন্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন বদলি, প্রশ্ন তোলেন তিনি। মুখ্যসচিবের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়েছিল। তার পরও কেন মুখ্যসচিবকে বদলি করা হল?
‘দয়া করে নোংরা খেলা খেলবেন না’,
মমতার অভিযোগ, বাংলায় হার মেনে নিতে না পেরেই রাজ্য সরকারকে অপমান করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হচ্ছে, মুখ্যসচিবের মতো সৎ এবং কর্মঠ ব্যক্তিকে অপমান করা হচ্ছে। হাতজোড় করে কেন্দ্রের উদ্দেশে মমতার অনুরোধ, "দয়া করে এই নোংরা খেলা খেলবেন না। আবেদন জানাচ্ছি, এই চিঠি প্রত্যাহার করুন। ওকে কাজ করতে দিন। মানুষের জন্য কাজ করতে দিন। আমরা টিম হিসেবে কাজ করছি।" তবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধাণ চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আলাপনের বদলি নিয়ে আইনি লড়াইয়ের ইঙ্গিত
আলাপণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে শুরু হতে পারে আইনি লড়াই। তবে তা চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বারবার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই বিষয়টিকে নিয়ে কখণই সংঘাতে যেতে রাজি না। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিণ এও জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যে ক্যাটে এবং হাইকোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছে ওরা। ফলে আমরা নয়, ওরাই আইনি লড়াই চাইছে। আমাদের তো ভয়ের কিছু নেই। আমাদের হাতে তো এক্সটেনশনের কাগজ আছে। আলোচনাতে না মিটলে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠি প্রত্যাহার করুন। ওকে কাজ করতে দিন
গত ৭৪ বছরে এরকম কখনও হয়েছে?" প্রশ্ন ক্ষুব্ধ মমতার। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে কোনও সংঘাত তিনি চান না। রীতিমতো অনুনয়ের সরে হাতজোড় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর অনুরোধ, "দয়া করে এই নোংরা খেলা খেলবেন না। আবেদন জানাচ্ছি, এই চিঠি প্রত্যাহার করুন। ওকে কাজ করতে দিন।" কাজ ছাড়া আলাপন কিছু বোঝে না। সকাল ৭টা হোক রাত ১২টাতে ফোন ধরে। কথা বলেন। আজ আমরা আবেদন করলাম কেন্দ্রের কাছে। আগামীদিনে কি করব সেটা সময় বলবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।