পঞ্চায়েত প্রধান বাবার স্মৃতিতে বসিরহাটে জল প্রকল্প চালু সন্তানের
পঞ্চায়েত প্রধান বাবার স্মৃতিতে বসিরহাটে জল প্রকল্প চালু সন্তানের
অজানা জ্বরে মৃত্যু পঞ্চায়েত প্রধানের। তাঁরই স্মৃতিতে পানীয় জলের প্রকল্প করল ছেলে ও মেয়ে। বসিরহাটের এক পঞ্চায়েত এলাকায় এমনই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ থাকার পর কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বসিরহাটের এক নম্বর ব্লকের গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বছর ৩৫ এর হালিমা বিবি। মৃত্যুর খবর পৌঁছাতে গোটা গোটা গ্রাম নেমে এসেছে শোকের ছায়া। যে মানুষের সময়ে অসময়ে, সুখ দুঃখে পাশে ছিলেন সেই প্রধান হালিমাকে মনে রাখতে তাঁর নামাঙ্কিত পানীয় জলের প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন বছর ১০ এর ছেলে জুবায়াইস হাসান মন্ডল ও বছর ৫ এর মেয়ে ফারহানা মন্ডল।মানুষের কাছে মনে রাখতে এদিন মৃত হালিমার স্মৃতির স্মরণসভায় গ্রামের মানুষকে পানীয় জলের প্রকল্প উপহার দেয় তাঁর ছেলে মেয়ে।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্য শাহানুর মন্ডল, তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অহিদুল সাহাজি সহ বিশিষ্টজনেরা।
প্রধানের আত্মার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই পঞ্চায়েতের তৈরি হল পানীয় জলের প্রকল্প। যা সুবিধা পাবেন গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে এই পঞ্চায়েতের অধিকাংশ এলাকা জলে আর্সেনিক প্রবণ এলাকা। দীর্ঘদিনের জলের সমস্যা ছিল তাই। একদিকে প্রধানের স্মৃতি ধরে রাখতে চেষ্টা মৃতার ছেলে জুবায়ের মেয়ে ফারহানার। অন্যদিকে, তাদের হাত দিয়ে জল প্রকল্পের শিলান্যাসের ফলে মানুষের উপকার।
তাই বিশিষ্টজনদের সঙ্গে যেভাবে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়ন করেছেন তাই তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প উদ্বোধন করে মানুষকে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল। মৃত প্রধান হালিমা বিবির স্বামী আব্দুল মোমেন মন্ডল বলেন, তিনি দিন রাত্রে মানুষের সেবা করে গেছেন উন্নয়ন করে গেছেন। তাই আজ তার মৃত্যুতে তার নামে পানীয় জলের প্রকল্প ও রাস্তা শিলান্যাস করে আরো একবার উন্নয়নের বার্তা।
লকডাউন অমান্যকারীকে কান ধরে মোরগ নাচ পুলিশের