জঞ্জাল পৃথকীকরণের মাধ্যমে তা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার
রাজ্যে জঞ্জাল ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার ওপর জোর দিয়েছে সরকার। জানা গিয়েছে, রাজ্যের ১০২টি জঞ্জাল ফেলার জায়গার মধ্যে ৯০টি জায়গা ইতিমধ্যেই ভরাট করে ফেলা হয়েছে। পূর্ত দফতর ও পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ময়লার ঢিবিগুলিকে ভেঙে সেখান থেকে জঞ্জাল আলাদা করে তা পুনরায় সম্ভাব্য ব্যবহারযোগ্য করে তোলা।

জঞ্জাল পৃথকীকরণ যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের জঞ্জাল যেমন জীবাণুযুক্ত জঞ্জাল, পুনরায় ব্যবহার করা যায় এমন প্ল্যাস্টিক, ধাতব বস্তু, বৈদ্যুতিন জঞ্জাল আলাদা করা যায়। জানা গিয়েছে, জীবাণুযুক্ত জঞ্জাল থেকে সার ও বিদ্যুত তৈরি হতে পারে। পুনরায় ব্যবহৃত প্ল্যাস্টিককেও যথাযথ পদ্ধতির মধ্য দিয়ে ফের ব্যবহারযোগ্য করা যায়। এছাড়াও ধাতব, ই–জঞ্জাল এবং অন্য জীবাণুযুক্ত জঞ্জালকেও কিভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে তার চিন্তা–ভাবনা চলছে। সেগুলিকে আলাদাও করা হচ্ছে বিভিন্ন জঞ্জালের স্তুপ থেকে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মিশ্র জঞ্জালের ঢিবি যাতে না গড়ে ওঠে তার জন্য জঞ্জালগুলিকে পৃথকীকরণ করা হবে। তাতে পদ্ধতিটি করা আরও সহজ হবে। এই বিষয়কে সামনে রেখে রাজ্য সরকার ৮টি শহরকে মডেল শহর ও প্রত্যেকটি জেলায় ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে মডেল গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় নিয়ে আসবে। সরকার থেকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে জঞ্জাল আর পোড়ানো যাবে না। এতে ব্যাপক দূষণের পাশাপাশি শারীরিক ক্ষতিও হয়।