বুথে দাপাদাপি অস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীর, লাইন ছেড়ে পালালেন ভোটাররা, উত্তেজনা মুর্শিদাবাদে
রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল রুটমার্চ। ভিনরাজ্যের বাহিনী থেকে শুরু করে পুলিশ, সিভিক নিয়ে গ্রাম বাংলা ভারী বুটের আওয়াজে রুটমার্চ চলল সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে।
দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ভোট দান শুরু হলেও, তা নির্ঘিঘ্ন রইল না। মনোনয়ন পর্বে যে ছবি চোখে পড়েছিল, ভোট পর্বেও বাংলাজুড়়ে একই ছবি। সোমবার ভোটের সকালেই মুর্শিদাবাদ দেখল অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি। মুখে কাপড় বেঁধে প্রকাশ্য অস্ত্র হাতে বুথে বুথে দাপিয়ে বেড়াল বাহিনী। ভোটগ্রহণ পর্বের সকালেই মুর্শিদাবাদের নওদায় ঘটল এই ঘটনা।
[আরও পড়ুন: বুথের বাইরে বিজেপি কর্মীকে সপাটে চড় রবীন্দ্রনাথ ঘোষের, দানা বাঁধল বিতর্ক ,দেখুন ভিডিও]
কারও হাচতে ওয়ান শাটার, কারও হাতে পিস্তল। বুথের আশেপাশে দাপাদাপি তাদেরই। তবে এরপরই পুলিশ ঢুকতেই দুষ্কৃতীরা গা ঢাকা দেয়। তবে তার আগেই দুষ্কৃতীরা কাজের কাজ করে চলে যায়। দুষ্কৃতীদের ভয়ে ভোট না দিয়েই পালিয়ে যান সাধারণ ভোটাররা।
[আরও পড়ুন: ব্যালট বক্স পুড়ল শিকারপুরে, স্থগিত ভোটগ্রহণ, চাঞ্চল্য এলাকায়]
মুর্শিদাবাদের রেজিনগরেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ২৪১ নম্বর বুথে তৃণমূল এজেন্টদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের তির কংগ্রেসের দিকে। তৃণমূল একাধিক বুথ দখল করে বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের। এদিন এর প্রতিবাদে ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান ৫৮ নম্বর মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের কংগ্রেস প্রার্থী হুমায়ুন কবীর।
মুর্শিদাবাদের সূতি ১ নম্বর ব্লকেও উত্তেজনা ছড়ায়। সুতির এক নম্বর ব্লকের ৪০ নম্বর বুথে কংগ্রেস-তৃণমূলের ঝামেলায় প্রায় ৪৫ মিনিট ভোট বন্ধ থাকে।