তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কদের ‘পারফর্মে’ অসন্তুষ্টি! কড়া অবস্থানের ভাবনা প্রশান্ত কিশোরের!
তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কদের ‘পারফর্মে’ অসন্তুষ্টি প্রশান্ত কিশোরের! নিলেন কড়া অবস্থান
করোনার বিশ্বমহামারী মানুষে মানুষে দূরত্ব তৈরি করে দিয়েছে। সঙ্কট সময়ে সাক্ষাতে নিষেধাজ্ঞা। মানুষে মানুষে যোগাযোগের একটাই মাধ্যম এখন সোশ্যাল মিডিয়া। রাজনৈতিক নেতাদেরও তাই। রাজনৈতিক প্রচার হোক বা রাজনৈতিক দলের বৈঠক- সবই কিছুতেই ভরসা সেই সোশ্যাল মিডিয়া। এই মাধ্যমকে সঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারলেই সংকট বাড়বে প্রচারে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে বিব্রত প্রশান্ত কিশোর
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু হতে না হতেই, তৃণমূল পড়েছে ঘোর বিপাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেঁফাস মন্তব্য করে দলকে বিপদে ফেলে দিচ্ছেন অনেক নেতারা। তার খেসারত দিতে হচ্ছে দলকে, ধাক্কা খাচ্ছে প্রচার-পরিকল্পনা। প্রচার কৌশলের দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত কিশোরও তা নিয়ে বিব্রত।
সোশ্যাল মিডিয়াকে অপব্যবহার করছেন তৃণমূল নেতারা!
পরিস্থিতি যা তাতে, ২০২১-এর আগে যাতে বুমেরাং না হয়ে যায়, তার জন্য দলকে তিনি পরামর্শ দেবেন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারের ব্যাপারে কড়া অবস্থান নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করতে। তা না হলে ২০২১-এর নির্বাচনী প্রচারে তারা পিছিয়ে পড়বেন। দলের অনেক নেতা-নেত্রীই সোশ্যাল মিডিয়াকে সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন না বলে অভিযোগ।
প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিম আই-প্যাকের অসন্তুষ্টি প্রকাশ
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ এবং বিধায়করা সম্প্রতি ড্রোভে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। তাঁদের অনেকেরই প্ল্যাটফর্মে বা তাদের অ্যাকাউন্টে যে পোস্টগুলি দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে তাঁদের কোনও ধ্যানধারণা নেই। তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রীর পোস্ট নিয়ে কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিম ভারতীয় পলিটিকাল অ্যাকশন কমিটি বা আই-প্যাক অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
বিজেপিতে সঠিক প্রয়োগ, তাহলে তৃণমূল কেন পারছে না!
প্রশান্ত কিশোরকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কৌশল গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের পর থেকে তিনি তৃণমূলের প্রচার পরিকল্পনার দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার পিছনে প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক টিমের ভূমিকা ছিল। তারপর থেকেই তিনি বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কয়েকটি দলের হয়ে কাজ করেছেন।
সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার
২০১৪ সালের মোদীর ক্ষমতায় আসার পিছনে অন্যতম মূল চাবিকাঠি ছিল সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার। প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে বিজেপি সেই কাজ করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন। এবার সেই একই তত্ত্ব তিনি তৃণমূলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন। কিন্তু তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা যদি সেই মাধ্যমকে তুচ্ছ জ্ঞান করে সঠিকভাবে ব্যবহার না করে, তাহলে পস্তাতে হবে!
সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার নিষিদ্ধ করার ভাবনা!
এই অবস্থায় প্রশান্ত কিশোর মনে করছেন, তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদরা যদি নিজেদেরসঠিক প্রয়োগ না করেন, তবে প্রচারের পদ্ধতি নিয়ে তাঁকে আলাদা করে ভাবতে হবে। সে রকম হলে যে সমস্ত নেতা-নেত্রী সোশ্যাল মিডিয়াকে সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন না, তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার নিষিদ্ধ করে দিতে হবে। এই পরামর্শ তিনি দিয়েছেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
করোনাতেই মাৎ হবে তৃণমূল, একুশের টার্গেটে ভোটার ভাঙানোর প্রস্তুতি শুরু বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডে