প্রশান্ত কিশোর সর্বনাশ করছে! একুশের নির্বাচনের আগে বেআব্রু হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল
প্রশান্ত কিশোরই সর্বনাশের মূল! ভোটের আগে এমনটাই মনে করছেন তৃণমূলের একাংশ। ক্রমশই এই মতের সমর্থনে ভিড় বাড়ছে। বিধায়করা সরাসরি প্রশ্ন তুলছেন প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে।
প্রশান্ত কিশোরই সর্বনাশের মূল! ভোটের আগে এমনটাই মনে করছেন তৃণমূলের একাংশ। ক্রমশই এই মতের সমর্থনে ভিড় বাড়ছে। বিধায়করা সরাসরি প্রশ্ন তুলছেন প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে। তাঁদের অভিযোগ, বাংলায় তৃণমূলের যদি কোনও ক্ষতি হয়, তবে তার জন্য দায়ী হবে প্রশান্ত কিশোর। এবং তাঁকে এই দায় নিতে হবে।
পিকেকে সরাসরি নিশানা তৃণমূল বিধায়কের
শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে একে একে অনেক বিধায়কই তৃণমূলের বিদ্রোহী ভূমিকা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সরাসরি তিনজন বিধায়ক প্রশান্ত কিশোর তাঁর সংস্থাকে দায়ী করেছেন তৃণমূলের এই সংকটের জন্য। পিকেকে সরাসরি নিশানা করে তিনি বলেন, পিকের কাছে আমাদের রাজনীতি শিখতে হবে!
প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের কংগ্রেসের কোন দায়িত্বে
প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের কংগ্রেসের কোন দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি কি রাজ্যের কোনও নেতা। তাঁকে কেন আমরা মানব। এমনকী তৃণমূলের জেলা সভাপতিকেও একহাত নিতে দেখা যায় বিধায়ক নিয়ামত শেখকে। তিনি বলেন, পিকে আমাদের ব্যবহার করবে, এই সিস্টেম কে চালু করল, কেনই বা চালু হল?
তৃণমূলের মধ্যেই সমান্তরাল পৃথক একটা দল
এতদিন যে কথা বলে এসেছেন বিরোধীরা, সেই ভাষাতেই কথা বলছেন তৃণমূলের নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই দুটি পৃথক আওয়াজ উঠেছে। যা দেখে মনে হচ্ছে তৃণমূলের মধ্যেই সমান্তরাল পৃথক একটা দল চলছে। এই প্রবণতাই তৃণমূলের কাল করে দিচ্ছে। ২০২১-এর আগে এই কোন্দল রোখাই এখন মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সক্রিয় না হলে ভাঙন অবধারিত
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তো সংকট বেড়েই চলেছে, তার উপর প্রতিদিনই নতুন নতুন বিধায়করা তৃণমূলে বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন। ক্রমশই তালিকাটা বাড়ছে। ঠিক ২০২১-এর প্রাক্কালে এই অভ্যন্তরীণ বিভাজন অনেক প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে তৃণমূলকে। এখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সক্রিয় না হলে ভাঙন সাংঘাতিক রূপ নেবে!
ছন্নছাড়া তৃণমূল, পিকের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে
২০১৯-এ বিজেপির কাছে ধাক্কা খেয়ে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ভোট কৌশলের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আর এসেই মুকুল রায়ের ভাঙনের খেলা রুখে দলকে স্বস্তি দিয়েছিলেন। এরপর ‘দিদিকে বলো' অভিযানে নেমে তিনি ছন্নছাড়া তৃণমূলকে সঙ্ঘবদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু ২০২১-এর আগে পিকের সাংগঠনিক ভূমিকা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে।