তৃণমূলের চার নেতা-মন্ত্রীকে ‘নিষ্ক্রিয়’ করার পরামর্শ মমতাকে, টার্গেটে ২০২১ এর বিধানসভা
তৃণমূলের চার নেতা-মন্ত্রীকে কালো তালিকাভুক্ত করার পরামর্শ দিলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দিয়েছেন চার নেতা-মন্ত্রীকে 'নিষ্ক্রিয়' করে দেওয়ার।
তৃণমূল কংগ্রেসের চার নেতা-মন্ত্রীকে কালো তালিকাভুক্ত করার পরামর্শ দিলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দিয়েছেন চার নেতা-মন্ত্রীকে 'নিষ্ক্রিয়' করে দেওয়ার। চারজনকেই সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে
লক্ষ্য আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। লোকসভায় ধাক্কা খাওয়ার পর জোড়াফুল শিবিরকে চাঙ্গা করতে প্রশান্ত কিশোরের মতে কৌশলীকে নিয়োগ করা হয়েছে তৃণমূলে। তারপরই ভোট কৌশলীর তরফে দলের সুপ্রিমোর কাছে পরামর্শ দান করা হয়েছে। তৃণমূল ভবনে প্রশান্ত কিশোর ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বৈঠকে হয়। সেখানেই এই পরামর্শ প্রদান করা হয় মমতাকে।
ভোট কৌশলীর টোটকা প্রয়োগ
তৃণমূল শিবির চাইছে, দলের রোগ সারাতে ভোট কৌশলীর টোটকা প্রয়োগ করতে। সেইসঙ্গে লোকসভা ভোটে দলের বিপর্যয় কারণ খুঁজে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। সেইমতো প্রশান্তের পরামর্শ প্রয়োদ করতেও তৎপর তৃণমূল নেতৃত্ব।
দক্ষিণবঙ্গের দুই নেতা তালিকায়
এখন প্রশ্ন উঠেছে কোন চারজন নেতা-মন্ত্রীকে দলে নিষ্ক্রিয় করার কথা বলা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের এক নেতা এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন। তিনি ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতকে বিরোধী শূন্য করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে। প্রচারে বিভিন্ন বুলি আওরে তিনি বাজার গরম করেছিলেন। এই তালিকায় দক্ষিণবঙ্গের আরও এক প্রভাবশালী নেতার নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গেরও দুই নেতা-মন্ত্রী তালিকায়
উত্তরবঙ্গের দুই নেতা-মন্ত্রী রয়েছেন প্রশান্ত কিশোরের দেওয়া তালিকায়। এই চার জন দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন বলে মনে করেছেন প্রশান্ত কিশোর। বড় বড় নাম, অথচ যাঁদের জন্য দল বারবার অস্বস্তিতে পড়েছে, তাঁদেরকেই নিষ্ক্রিয় করে এগোতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পুলিশি নির্ভরতায় কোপ, পরামর্শ
একইসঙ্গে ভোটের পরামর্শ, সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির জন্য পুলিশ প্রশাসনের উপর নির্ভরতা বন্ধ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের পক্ষ থেকে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, পুলিশি নির্ভরতার কারণেই ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তৃত অংশে দল ভুগছে। এ প্রসঙ্গেও মমতা আলোচনা করেছেন প্রশান্তের সঙ্গে। তারপরই অতিমাত্রায় ভরসা করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রশান্ত।
পুরসভা নির্বাচনই পাখির চোখ
সামনেই পুরসভা নির্বাচন। তার আগে জোড়াফুল শিবির ভোটের কৌশলগত দায়িত্ব প্রশান্ত কিশোরের উপর দিয়ে রেখেছে। আপাতত পুরসবা ভোটই পাখির চোখ তৃণমূলের। সেইসঙ্গে ২০২১-এর জন্য তৈরি হবে দল। কার জেতার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি, তা বিচার করেই প্রার্থী পদ স্থির করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।