বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙার আঁচ মোদীর দফতরে! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের মধ্যে এফআইআর-এ প্রথম নাম বিধায়কের
বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙার আঁচ এবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও। যেভাবে সোমবার বিশ্বভারতীয় সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দফতরে নানিশ জানাতে চলেছে বিশ্বভারতী। অন্যদিকে সোমবারে পাঁচ
বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙার আঁচ এবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও। যেভাবে সোমবার বিশ্বভারতীয় সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দফতরে নানিশ জানাতে চলেছে বিশ্বভারতী। অন্যদিকে সোমবারে পাঁচিল ভাঙার ঘটনায় এফআইআর করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর অনুযায়ী সেই তালিকায় প্রথম নাম দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরির।
এবার এইমসে ভর্তি অমিত শাহ! পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে
বিশ্বভারতীর দাবি
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনেই পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলা হচ্ছিল। স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী ও বাইরে থেকে লোর এনে একদিকে যেমন নির্মাণ কাজ ভেঙে ফেলা হয়, অন্যদিকে পে লোডার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় গেট। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে।
স্থানীয়দের একাংশ এবং তৃণমূলের অভিযোগ
স্থানীয়দের একাংশ ও তৃণমূলের অভিযোগ রবীন্দ্রনাথ মুক্ত শিক্ষাঙ্গনের কথা বলেছিলেন। সেই মুক্ত শিক্ষাঙ্গনে পাঁচিল দেওয়া কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যা নিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভও হয়।
এফআইআর-এ একের পর এক নাম তৃণমূল নেতাদের
সোমবারের ঘটনা নিয়ে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী সেই তালিকায় প্রথম নাম রয়েছে দুবরাজপুরের বিধায়ক তথা স্থানীয় বাসিন্দা নরেশ বাউরির। তাঁকে হাজার মানুষের মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও বিশ্বভারতীর খাতায় অভিযুক্তরা হলেন, বোলপুরের প্রাক্তন কাউন্সিলর ওমর শেখ, সুকান্ত হাজরা, দেবব্রত সরকার, চন্দন সামন্ত, সুনীল সিং, সুব্রত ভকত এবং আমিনুল হুদা। এঁদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, লুটপাট, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে সোমবারের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও সেখানে কোনও পতাকা ছিল না। তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন ঘটনাটি স্বতঃস্ফূর্ত।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠাচ্ছে বিশ্বভারতী
সোমবারের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠাচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
জট কাটাতে বৈঠকের ডাক জেলাশাসকের
এদিকে বিষয়টি নিয়ে জট কাটাতে বুধবার সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। বৈঠকে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকেও।