পৌষমেলার মাঠ ঘিরে দেওয়া নিয়ে অগ্নিগর্ভ শান্তিনিকেতন! অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বিশ্বভারতী
পৌষমেলার মাঠ ঘিরে দেওয়া নিয়ে অগ্নিগর্ভ শান্তিনিকেতন! অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বিশ্বভারতী
করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার মাঠ ঘিরে দেওয়া নিয়ে অগ্নিগর্ভ শান্তিনিকেতন। এর আগে পৌষমেলার মাঠ ঘিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত মতো শুরু হয় নির্মাণকাজও। যাকে কেন্দ্র করে মূলত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় শান্তিনিকেতন। দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি লোক নিয়ে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার থেকে। শনিবার স্থানীয়দের একাংশ কাজে বাধা দেন। পরের দিন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ফের পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ওইদিন রাতেই অবশ্য বোলপুর শহর জূরে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয় পাঁচিল দেওয়ার প্রতিবাদ করা হবে। সেমতোই পর দিন মাইকে করে প্রচার করা হয় "উপাচার্য গো ব্যাক"। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হয়নি। সোমবার ফের কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। এইবারে উত্তেজনা। বিশ্বভারতীর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়। পৌষমেলার গেটও ভেঙে দেওয়া হয়। পৌষমেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে আশ্রমিক,পড়ুয়া, রবীন্দ্র অনুরাগী মানুষজনের মধ্যে ক্ষোভ ছিল, এদিন সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে শুধু বোলপুর নয় আশেপাশের গ্রাম গুলি থেকেও বহু মানুষ জমায়েত হয়। তবে এইসব মানুষগুলোকে নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায় দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরিকে। তারা ঢালাই মেশিন উল্টে দেয়। ভিতের যে ঢালায় হয়েছিলো তার ওপর ইট ফেলে দেয়। উপাচার্য সহ বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের নজরদারির জন্য যে প্যান্ডেল করা হয়েছিলো সেটিও ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তারা প্যান্ডেলে থাকা চেয়ার ফ্যান ভেঙে দেয়। এরপরই মাস কয়েক থেকে বন্ধ গেটের তালা ভেঙে সেই গেটও তারা খুলে দেয়। শুধু তাই নয় জেসিবি মেশিন দিয়ে ওই গেটটিও ভেঙে ফেলে বিক্ষোভকারীরা।
তবে শান্তিনিকেতন থানা থেকে মাত্র 50 মিটার দূরত্বে এই ঘটনা ঘটলেও কোনও পুলিশকর্মীকে দেখা যায়নি। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা সংখ্যায় কম হওয়ায় ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা। কাজ ছেড়ে পালিয়ে যান শ্রমিকরাও। বন্ধ হয়ে গেছে পৌষমেলার মাঠে প্রাচীর তৈরির কাজ। যদিও, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতীর তরফে কেউ মন্তব্য করেননি ।