শান্তিনিকেতনে উৎসবের মেজাজ! শতবর্ষ পালন ঘিরে সেজে উঠেছে বিশ্বভারতীর কলাভবন
সবার রঙে রঙ মিলিয়ে ধীরে ধীরে সেজে উঠেছে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যমণ্ডিত কলাভবন চত্বর। বীরভূমের শান্তিনিকেতনের এই চত্বর এককালে পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু থেকে রামকিঙ্কর বেজের মত ব্যক্তিকে।
সবার রঙে রঙ মিলিয়ে ধীরে ধীরে সেজে উঠেছে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যমণ্ডিত কলাভবন চত্বর। বীরভূমের শান্তিনিকেতনের এই চত্বর এককালে পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু থেকে রামকিঙ্কর বেজের মত স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বকে। আর সেই কলাভবনের শতবর্ষ পালন ঘিরে রীতি মত সেজে উঠেছে শান্তিনিকেতন।
অনুষ্ঠানে মাতোয়ারা বিশ্বভারতী
২৯ নভেম্বর সন্ধ্যে থেকেই বৈতালিকের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে কলাভবনের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান। কলাভবনের পড়ুয়া থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা প্রাক্তন আশ্রমিকরা, সকলেই ধীরে ধীরে যোগ দিতে শুরু করেছেন এই অনুষ্ঠানে। শনিবার অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর প্রথা মেনে আয়োজিত হচ্ছে নন্দন মেলা। তার আগে এদিন সকালে আশ্রম পরিক্রমা উৎসবের মেজা যেন আরও খানিকটা উস্কে দিয়েছে।
নন্দন মেলা
উল্লেখ্য, শোনা যায়, বহুকাল আগে কলাভবনের এক ছাত্র হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর চিকিৎসার খরচ যোগাতে এগিয়ে আসেন কলাভবনের পড়ুয়া থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা। শুরু হয় নন্দন মেলা। মেলা থেকে উপার্জিত অর্থ যায় ছাত্রটির চিকিৎসার খরচে। প্রতিবছর ১, ২ ডিসেম্বর এই নন্দন মেলা আয়োজিত হয় কলাভবনে। আর ঠিক তার পরের দিন ৩ রা ডিসেম্বর সেখানে পালিত হয় নন্দলাল বসুর জন্মদিন।
কেমন হয় এই মেলা?
মূলত কলাভবনের ছাত্রছাত্রীদের হাতে গড়া বিভিন্ন শিল্পদ্রব্য বিক্রি হয় এই মেলায়। এশিয়ার অন্যতম সেরা শিল্প মেলা হিসাবে নন্দন মেলার প্রসিদ্ধি বহুদিনের।
সোনাঝুরির হাট
এদিকে, শনি ও রবিবারের এই নন্দন মেলা ঘিরে রীতিমত উৎসবের চেহারা নিয়েছে শান্তিনিকেতন। শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাটে ক্রমেই বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। সব মিলিয়ে আপাতত জমজমাট গোটা শান্তিনিকেতন।