নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ ভোট! এই জেলার ৭০ % বুথের কর্মীরা ফিরলেন সেক্টর অফিসে
ভোট নিয়ে রাজ্য জুড়ে হিংসা অব্যাহত। হিংসা কোচবিহার জুড়েই। ভোট শেষে আধঘণ্টা আগেই ব্যালট ও কাগজপত্র খুইয়ে সেক্টর অফিসে ফিরলেন ভোটকর্মীরা। তারা ফিরলেন বিএসএফ কর্মীদের নিরাপত্তায়।
ভোট নিয়ে রাজ্য জুড়ে হিংসা অব্যাহত। হিংসা কোচবিহার জুড়েই। ভোট শেষে আধঘণ্টা আগেই ব্যালট ও কাগজপত্র খুইয়ে সেক্টর অফিসে ফিরলেন ভোটকর্মীরা। তারা ফিরলেন বিএসএফ কর্মীদের নিরাপত্তায়।
[আরও পড়ুন:নিজের ভোট নিজে দিতে চেয়ে অনড়, নন্দীগ্রামে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু ২ সিপিএম সমর্থকের]
সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা। যার প্রভাব পড়েছে ভোটকর্মীদের ওপরও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট শেষ হওয়ার অনেক আগেই সেক্টর অফিসে ফিরে গিয়েছেন কোচবিহারের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ বুথের ভোটকর্মীরা। বহিরাগতদের হামলার মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, নিরাপত্তার দায়িত্বে শেষ পর্যন্ত বিএসএফ কর্মীদের পর্যন্ত ডাকতে হয়।
সেক্টর অফিসে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন ভোটকর্মীরা। তাঁদের একজন বলছেন, ৫ থেকে ৬ টি ভোট সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। কিন্তু ১৪ মে-র মতো অভিজ্ঞতা তাদের হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, ভোট শুরু হওয়ার কথা সাতটায়। তার আগে ভোর ৪ টে থেকে জমায়েত হতে শুরু করেছিল ভোট কেন্দ্রের সামনে। সকাল ৬.১৫ নাগাদ লাঠি, তরোয়াল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে দুষ্কৃতীরা। তারা ব্যালট পেপার, ব্যালট বক্স ছিনিয়ে নিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। সুযোগ পেয়ে ভোট কর্মীরা কেউ পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। আবার কোনও কেন্দ্রে ভোট শুরুর আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ৭০ শতাংশ ভোট পড়ে যাওয়ায় ব্যালট বাক্স নিয়ে এলাকা ছেড়ে সেক্টর অফিসে পৌঁছে যান। ভোট কর্মীদের অনেকেই এই ঘটনায় মোবাইল কিংবা জামা কাপড় হারিয়েছেন।
[আরও পড়ুন:কাকদ্বীপে সিপিএম নেতাকে পুড়িয়ে খুন, দেহ নিয়ে কমিশনে সুজন-কান্তিরা]