অমিত শাহর সভা শেষে রণক্ষেত্র কাঁথি রোড, পার্ট অফিস ও বাইকে আগুন, বাসে ভাঙচুর
অমিত শাহর সভার শেষে রণক্ষেত্র কাঁথি রোড। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অমিত শাহর সভায় আসা একাধিক বাসে ভাঙচুর হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে একাধিক মোটর বাইকে।
অমিত শাহর সভার শেষে রণক্ষেত্র কাঁথি রোড। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অমিত শাহর সভায় আসা একাধিক বাসে ভাঙচুর হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে একাধিক মোটর বাইকে। কাঁথি মেন রোডের উপরে সেই সব জ্বলন্ত বাইক পড়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই রাজনৈতিক সংঘর্ষে ঠিক কত জন জখম হয়েছেন তা জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, কাঁথির স্টেশন লাগোয়া জমিতে অমিত শাহর সভা শেষ হতেই। এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় হামলার অভিয়োগ সামনে আসতে থাকে। বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ গাড়ি আটকে বাঁশ নিয়ে তেড়ে আসতে থাকে তৃণমূলের লোকজন। জনসভা থেকে ফেরা একাধিক বাসে সমানে ভাঙচুর চালানো হয়। বহু বাস থেকে আতঙ্কে বিজেপি-র কর্মী ও সমর্থকরা নেমে পড়েন। অনেকে আতঙ্কে বাসের মধ্য়েই বসে থাকেন। অনেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক মার খেয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে দিঘামুখী কাঁথি রোড তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। একাধিক বাসে ভাঙচুর করা হয়। মোটর বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে যায় কাঁথি রোড থেকে আশপাশের এলাকাতেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল অভিযোগ করে কাঁথির দুরমুঠে তাঁদের কার্যালয়ে আগুন লাগায় অমিত শাহর সবা থেকে ফেরত আসা লোকজন। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূলের দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন বাস ভর্তি বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের উপরে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকী মহিলা কর্মী ও সমর্থকদেরও ছাড়া হয়নি। তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন রাহুল সিনহা।
পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাবধান হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এভাবে বিজেপি-র কর্মী ও সমর্থক এবং নেতাদের ভয় পাওয়ানো যাবে না। এর জন্য কড়া মাসুল গুণতে হবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে।
[আরও পড়ুন: ১৯-এর বাংলায় ২৩ টির বেশি আসন চাই, অমিত দিলেন নানা যুক্তি]
আগে থেকে হামলার সসমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য়ের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিজেপি-র ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, আগে তৃণমূলের কার্যালয়ে আগুন লাগানো হয়। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা যথেষ্ট সংযত ছিলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে সভা ভরিয়েছিল বিজেপি। এঁদের দিয়েই বাসে ভাঙচুর চালিয়ে একটা মিথ্যা মিথ্যা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে বিজেপি। বুধবার এর জন্য কাঁথিতে ধিক্কার দিবসের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু।
[আরও পড়ুন:মমতার সঙ্গে লড়াইয়ে বাজি মুকুলই! কাঁথির সভা থেকে অস্ত্রে শান]
অমিত শাহর সভার পরে এই হিংসার ঘটনা নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন। কী ভাবে বিজেপি-র কর্মী ও সমর্থকদের বাসে, গাড়িতে হামলা হয়েছে তা ছবি সহ জাতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে পেশ করেন সম্বিৎ।
[আরও পড়ুন:রণক্ষেত্র কাঁথি! নিউটনের তৃতীয় সূত্রের কথা বললেন শুভেন্দু]