আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছে মানুষ, দুষ্কৃতীদের ধরতে ব্যর্থ পুলিশ
গতকাল দিনভর সন্ত্রাস চলে বীরভূম জেলার পাড়ুই থানার অন্তর্গত মাকড়া গ্রামে। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ে। অভিযোগ, শাসক দলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা বিজেপি-প্রভাবিত গ্রামে কবজা করতে সংগঠিতভাবে হামলা চালায়। এখনও পর্যন্ত তিনজন মারা গিয়েছেন। তৃণমূলের দাবি, বিজেপিই প্রথমে হামলা করেছে। যে তিনজন মারা গিয়েছে, তাদের মধ্যে দু'জনকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
বিজেপির বক্তব্য, যে দু'জন তৃণমূল কর্মী মারা গিয়েছে, সেই শেখ সুলেমান ও শেখ মোজ্জামেল দীর্ঘক্ষণ ধরে মাকড়া গ্রামে সন্ত্রাস চালাচ্ছিল। মানুষ পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গণরোষের শিকার হয়ে এরা মারা যায়। শেখ সুলেমানের বাড়ি দুবরাজপুরে হওয়া সত্ত্বেও সে মাকড়া গ্রামে এসেছিল। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগতদের নিয়ে এসেছিল মাকড়ায়। অন্তত এমনটাই দাবি বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলের।
অভিযোগ যাই হোক, মাকড়া এখন ভুগছে আতঙ্কে। এই গ্রামে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ছাড়াও রাজনীতি করেন না, এমন লোক রয়েছেন। মূলত দু'পক্ষের হানাহানি থেকে বাঁচতে তাঁরাই গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ফিরে আসার কোনও প্রশ্ন নেই বলে জানান তাঁরা।
মাকড়ার ঘটনায় যথারীতি অভিযোগের আঙুল উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের দিকে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রতবাবু ইলামবাজারের পার্টি অফিসে বসে গোটা অপারেশন পরিচালনা করেছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডল। যদিও সেই বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন অনুব্রতবাবু।