কাটমানি নিয়ে এবার বসল সালিশি সভা! তৃণমূল নেতারা দিতে বাধ্য হলেন মুচলেকা
কাটমানি নিয়ে এবার বসল সালিশি সভা। মঙ্গলকোটের জালপাড়া গ্রামে রবিবার সকালে সালিশি সভা বসে।
কাটমানি
নিয়ে
এবার
বসল
সালিশি
সভা।
মঙ্গলকোটের
জালপাড়া
গ্রামে
এদিন
রবিবার
সকালে
সালিশি
সভা
বসে।
সেখানেে
হাজির
করানো
হয়
এলাকার
দুই
তৃণমূল
কংগ্রেস
নেতাকে।
ওই
দুই
নেতা
অপূর্ব
ঘোষ
এবং
কালিময়
গঙ্গোপাধ্যায়
জানান,
স্থানীয়
তৃণমূল
নেতা
রমজান
শেখের
নির্দেশে
তাঁরা
কাটমানি
নিয়েছিলেন।
এলাকায়
সবমিলিয়ে
৩
লক্ষ
টাকা
কাটমানি
নেওয়া
হয়েছে
বলে
দাবি
বিজেপির।
জেলা
তৃণমূল
নেতৃত্বের
অভিযোগ
চাপ
দিয়ে
বিজেপি
এইসব
কাজ
করাচ্ছে।
সরকারি প্রকল্পে কাটমানি। বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এই কাটমানি নেওয়া হয়েছিল। ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন মঙ্গলকোটের জালপাড়ার দুই তৃণমূল নেতা অপূর্ব ঘোষ এবং কালীময় গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁরা বলেন, রমজান শেখের নির্দেশে কাজ করে তাঁরা ভুল করেছিলেন। তবে কাটমানি ফেরত দেওয়ার জন্য তিনমাস সময়ের কথা মুচলেকায় দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে টাকা ফেরত দেবেন, প্রশ্নের উত্তরে দুই নেতা জানিয়েছেন, জমি বিক্রি করে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর বীরভূমে তা নিয়ে ছররা গুলি চলে। কাটমানি নিয়ে এদিনও উত্তপ্ত ছিল বীরভূম। বাদ যায়নি পাশের জেলা বর্ধমান। এদিন সকালে গ্রামবাসীদের মধ্যে ফর্ম বিলি করা হয় বিজেপির তরফ থেকে। তার পর নির্দিষ্ট সময়ে বসে সালিশি সভা। সেখানে দুই নেতা অপূর্ব ঘোষ এবং কালিময় গঙ্গোপাধ্যায় মুচলেকা দিয়ে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কাটমানি সরিয়ে সরকারি পরিষেবা পৌঁছতে মমতার সরকারের এসএমএস ও টোল ফ্রি পরিষেবা]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা স্বীকার করেছেন, সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রত্যেক উপভোক্তার কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে কাটমানি নেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি সবমিলিয়ে কাটমানির পরিমাণ ৩ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। এই কাজ সভাপতি রমজান শেখের নির্দেশে করা হত। যদিও রমজান শেখ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, পুরো ঘটনাটাই বিজেপির চক্রান্ত।