সঙ্গীত জগতে আরও এক নক্ষত্র-পতন! প্রয়াত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
সঙ্গীত জগতে আরও এক নক্ষত্র-পতন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে জীবনবশান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। ৯০ বছর বয়সে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছা
সঙ্গীত জগতে আরও এক নক্ষত্র-পতন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে জীবনবশান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। ৯০ বছর বয়সে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে সঙ্গীতমহলের।
গত কয়েকদিন আগেই প্রয়াত হন লতা মঙ্গেশকর। সুরের দেবীর প্রয়াণে শোক এখনও ভোলেনি দেশের মানুষ। আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার খারাপ খবর। তবে 'সন্ধ্যাদি'র প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলা।
গত কয়েকদিন আগেই জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। প্রথমে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এরপর যদিও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকায় দ্রুত কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এমনকি গত কয়েকদিন আগেই তাঁর একটি অপারেশনও হয়।
আর এরপর বেশ কিছুটা চিকিৎসাতে সাড়াও দিচ্ছেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাতে আশার আলোই দেখছিলেন চিকিৎসকদের। কিন্তু আজ মঙ্গলবার কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হতে শুরু করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে আইসিএউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়।
অ্যাপেলো কর্তৃপক্ষ তরফে মেডিকেল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, তাঁর রক্তচাপ হঠাৎ করেই কমে গিয়েছে। সেই কারণে তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করে ভেসোপ্রেসার সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আর এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুর খবর জানান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
হাসপাতাল সুত্রের খবর, হঠাত করেই শেষমুহূর্তে একটি হার্ট অ্যাটার্ক হয় শিল্পীর। সেটা আর সামলাতে পারেননি তিনি। এমনকি চিকিৎসকেরাও সবরকম চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সব মায়া ত্যাগ করে স্বর্গলোকেই পাড়ি দিলেন সন্ধ্যা। একই সঙ্গে বাংলা সঙ্গীত শিল্পীমহলেও নিভন সন্ধ্যা প্রদীপ।
গীতশ্র'র প্রয়াণের খবর সামনে আসতেই ভেঙে পড়েছে বাংলার সঙ্গীতমহল। এই প্রসঙ্গে অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। উনি গানের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবেন। ভেঙে পড়েছেন সিঙ্গিত শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা। কার্যত কেঁদেই ফেলেন তিনি। এক সংবাদমাধ্যমে জানান, খুব ভালো মানুষ ছিল। মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালের সামনে ভিড় বাড়ছে অনুগামীদের। ধরে ধীরে হাসপাতালে আসছেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রীর পরিবারের সদস্যরাও।
অন্যদিকে পুলিশের তরফেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরে বাইরে বাড়ানো হচ্ছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আজ রাতে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর দেহ থাকবে পিস হাভেনে। এমনকি হাসপাতালেও থাকতে পারে।
Recommended Video
তবে আগামীকাল ১২ টা থেকে রবীন্দ্রসদনে দেহ রাখা থাকবে। বিকেল পাঁচ টা পর্যন্ত সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তবে বুধবারই পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ কৃত্যু শেষ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।