নেই বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোনের সংযোগ! আম্ফানের জেরে স্তব্ধ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের জের কতদিনে কাটিয়ে ওঠা যাবে তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বুধবার রাতে আম্ফানের তাণ্ডবের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মোবাইল পরিষেবা বিচ্ছিন্ন। কলকাতার বহু জায়গাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি এদিন দুপুরেও। এছাড়াও ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে হয়েছে।
আম্ফানকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি! সিপিএম মনে করাল ১১ বছর আগে মমতার অবস্থানের কথা

ধ্বংস করে দিয়ে গেল, বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী
সর্বনাশ হয়ে গেল, ধ্বংস করে দিয়ে গেল। আম্ফান নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া এমনটাই বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন বিল্ডিং-এর কথা উল্লেথ খরে তিনি বলেছেন বেঙে গিয়েছে অর্ধেক বিল্ডিংটা। ফলে সবাই কল্পনা করতে পারছেন, সারা বাংলা জুড়ে কতটা তাণ্ডব হয়েছে। পুরো রিপোর্ট পেতে ৩ থেকে ৪ দিন লাগবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

ফনির ১০ গুণ বেশি ক্ষতি, বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন আয়লা, ফনির থেকে ভয়ঙ্কর ও ধ্বংসাত্মক ছিল আম্ফান। ফনির চেয়ে ১০ গুণ বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় কারও পক্ষে প্রতিহত করা সম্ভব নয়।

রাজ্যে কমপক্ষে মৃত ১২
আম্ফানের তাণ্ডবে রাজ্যে মৃত কমপক্ষে ১২ জন। বেহালায় ১, পর্ণশ্রীতে ২, হাওড়ার ব্যাটরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। চুঁচুড়ায় দেওয়াল ধসে মৃত ১। উত্তর ২৪ পরগনায় গাছ পড়ে মৃত একাধিক।

একের পর এক এলাকা বিদ্যুৎহীন, নেই ইন্টারনেট সংযোগ
বুধবার রাতের পর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জায়গায় জায়গায় গাছ পড়ে রয়েছে। বিদ্যুতে খুঁটি ভেঙে পড়ে রয়েছে রাস্তায়। যার জেরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এমন কী কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন। নেই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবস্থাও। অনেক জায়গাতেই ফোন করলে, উত্তর আসছে মোবাইলের সুইচ অফ। স্বাভাবিকভাবেই বহু মানুষ এর জেরে পড়েছেন মুস্কিলে।
