পরিজনের হাতে তুলে দেওয়া যায় করোনায় মৃতের দেহ! 'অবৈজ্ঞানিক' পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ঊষশীর, সঙ্গে যুক্তি
মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার থাকা সত্তেও কোভিড-১৯ ভাইরাস পজিটিভ থাকায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর দেহদান করা যায়নি।
মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার থাকা সত্তেও কোভিড-১৯ ভাইরাস পজিটিভ থাকায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর দেহদান করা যায়নি। এই নিয়ে আক্ষেপ জানিয়ে ওনার কন্যা ঊষশী কিছু প্রশ্ন রেখেছেন। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মৃতদেহে ভাইরাস সত্যিই কতক্ষণ বাঁচতে পারে? এই নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য কি আছে? চিকিৎসাবিজ্ঞানে কি এই নিয়ে কোনও গবেষণা হয়েছে? এর সাথে উষশী একটা দাবিও রেখেছেন তা হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানে যদি মৃতদেহে করোনা ভাইরাস ক্রিয়া-প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা না হয়ে থাকে, তা করা হোক।
মৃতদেহ থেকে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ নেই
প্রথমেই
জানাই
মরণোত্তর
দেহদানে
অঙ্গীকার
করা
দেহ
দান
করা
হচ্ছে
তা
নয়।
কোভিড
১৯-এ
আক্রান্ত
মৃত
বা
কোভিড-১৯
পজিটিভ
থাকা
মৃতদেহও
শেষকৃত
সম্পন্নর
জন্য
রোগীর
আত্মীয়স্বজনকে
দেওয়া
হচ্ছে
না।
বেওয়ারিশ
লাশের
সাথেও
নয়,
আলদাভাবে
এইসব
মৃতদেহের
শেষকৃত্য
সম্পন্ন
করা
হচ্ছে।
যা
সম্পূর্ণভাবে
অবৈজ্ঞানিক।
এই
অবৈজ্ঞানিক
পদ্ধতি
প্রয়োগের
পিছনে
আছে
অন্য
কারণ।
সেই
বিশ্লেষণে
পরে
আসা
যাবে।
তার
আগে
বলি,
মৃতদেহে
কোন
ভাইরাস
সক্রিয়
থাকতে
পারে
না।
প্যান-আমেরিকান
হেলথ
অর্গানাইজেশনের
(পাহো-হু)
মুখপাত্র
উইলিয়াম
আডু-ক্রো
এ
মাসেই
এক
সংবাদ
সম্মেলনে
বলেছেন,
"মৃতদেহ
থেকে
জীবিত
মানুষের
দেহে
এই
সংক্রমণ
ছড়ানোর
কোন
প্রমাণ
এখন
পর্যন্ত
পাওয়া
যায়
নি"।
জীবিত থাকাকালীনই ভাইরাসের শক্তি, সমর্থনে যুক্তি
ভাইরাস একটি পেন ড্রাইভের মতো। পেন ড্রাইভে প্রচুর তথ্য থাকে। এই পেন ড্রাইভ তখনই সক্রিয় যকন কোন চালু কমপিউটারের সাথে তাকে যুক্ত করা হয়। আমরা যদি স্কুলের পাঠ্য বইয়ের কথা একটু মনে করতাম তাহলে এই ভ্রান্তি অবশ্যই দূর হতো। আমাদের দেহে ভাইরাস প্রবেশ করে দেহের অভ্যন্তরীণ কোষের সিস্টেমকে বানচাল করে হাইজ্যাক করে। আরো ভাইরাস সৃষ্টির জন্য বায়োমলিকিউল উৎপাদনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। সংক্রামিত কোষটি ফেটে যায় এবং প্রচুর ভাইরাল কণা বের হয়, যা প্রতিবেশী কোষগুলিকে সংক্রামিত করে বা মানুষের শ্বাসের ফোঁটাগুলির অংশ হিসাবে বহন করে। বায়োকেমিক্যাল শক্তির প্রধান উত্স হ'ল অ্যাডেনোসিন ট্রাইফোসফেট (এটিপি)। সুতরাং ভাইরাস উত্পাদনের জন্য এটিপি দরকার, তবে একবার কোনও ব্যক্তি মারা গেলে কোষগুলি এটিপি তৈরি বন্ধ করে দেয়। কেন মৃত্যুর সাথে কোষগুলি এটিপি তৈরি বন্ধ করবে? আমাদের কোষগুলিতে এটিপি উত্পাদন মাইটোকন্ড্রিয়ায় ঘটে এবং প্রয়োজনীয় দুটি প্রধান কাঁচামাল হ'ল গ্লুকোজ এবং ফ্যাট (আমাদের হজম হওয়া খাদ্য থেকে) এবং অক্সিজেন (আমাদের ফুসফুস থেকে)। রক্তের অক্সিজেন পরিবহন প্রোটিন হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমে টিস্যুগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। জীবন, যেমনটি আমরা জানি, প্রচুর পরিমাণে মাইটোকন্ড্রিয়াল এটিপি উত্পাদনের উপর ভিত্তি করে এবং অক্সিজেন ছাড়াই মাইটোকন্ড্রিয়াল এটিপি উত্পাদন বন্ধ হয়ে যায়। এইখানেই পেন ড্রাইভের সাথে ভাইরাসের সাদৃশ্য। সুতরাং এটি একটি জৈব রাসায়নিক বাস্তব যে একটি মৃতদেহ নতুন ভাইরাস উত্পাদন করতে পারে না। আসল কথা এই কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের প্রধান সূত্র হলো ড্রপলেট মানে সোজা বাংলায় থুতু কণার মাধ্যমে। মৃতদেহ যেহেতু শ্বাস নেয় না বা কাশে না। তাই মৃতদেহ থেকে সংক্রমন ছড়ানোর কোন সম্ভবনা নেই।
মৃতদেহ নিয়ে কেন অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ এই নিষেধাজ্ঞা?
এর উত্তর ঊষশীর দাবির সঙ্গে যুক্ত। মরদেহ শুধুমাত্র ডাক্তারী পড়ুয়াদের পড়াশুনার কাজে নয় গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নভেল করোনা ভাইরাস মানে নতুন করোনা ভাইরাস। করোনা পরিবারের সপ্তম অবতার। এর চরিত্র নির্ধারণের জন্য করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির দেহ ব্যবচ্ছেদ জরুরি। তাহলেও হল না কেন? কর্পোরেট হাউসদের চক্রান্তের জন্য। বিশ্ব জুড়ে এই নিয়ে চক্রান্ত হয়েছে।
পুঁজিপতিদের কাছে চিকিৎসা বিরাট বাজার
প্রথমেই
মানতে
হবে
যে
পুঁজিপতিদের
কাছে
সারা
বিশ্বে
চিকিৎসা
একটা
বিরাট
বড়
বাজার।
এই
বাজার
দখলের
জন্য
কর্পোরেটরা
নানা
পদ্ধতি
অবলম্বন
করবেই।
মহামারী
আতঙ্কটা
নতুন
নয়।
এই
ভ্যাকসিন
ব্যবসায়ী
তথা
আমেরিকার
ন্যাশনাল
ইনস্টিটিউট
অফ
এলার্জি
এন্ড
ইনফেকশাস
ডিজিজ
এর
ডিরেক্টর
ডঃ
অ্যান্টনি
ফাউসিই
আতঙ্ক
ছড়িয়ে
ওষুধ
বাজার
দখলের
কৌশল
বার
করেন।
এডইস
ভাইরাসজনিত
রোগ
জানা
যায়
১৯৮৪
সালে।
কিন্তু
তিন
বছর
আগে
১৯৮১
সালে
যখন
এডইস
ভাইরাসজনিত
রোগ
প্রতিষ্ঠিতই
হয়নি,
তখন
কীভাবে
ডঃ
অ্যান্টনি
ফাউসি
এইডস-কে
একটি
ভয়ঙ্কর
রোগ
হিসাবে
বর্ণনা
করে
তার
ওষুধ
তৈরির
জন্য
বিনিয়োগ
শুরু
করেন।
এই
প্রসঙ্গে
৩০
বছরের
বৈজ্ঞানিক
গবেষণায়
অভিজ্ঞতাসম্পন্ন
আমেরিকান
প্রাক্তন
মেডিকেল
গবেষক,
সেলুলার
ও
মলিকুলার
বায়োলজিস্ট
ডঃ
জুডি
আন
মিকোভিটস
বলেন
ডঃ
অ্যান্টনি
ফাউসি
বিশ্বব্যাপী
এইডস
ছড়ানোর
ক্ষেত্রে
প্রত্যক্ষভাবে
দায়ী।
কোভিড-১৯
এর
ক্ষেত্রেও
তাই
উনি
২০১৭
সালে
২০১৫
সালের
১৮
মার্চ,
'TED
TALK'
কনফারেন্সে
বিশ্বের
অন্যতম
ধনী
ব্যাবসায়ী
বিল
গেটস
"The
Next
Outbreak"
শিরোনামে
এক
ভিডিও
প্রেজেন্টেশনের
কথা।
যেখানে
গেটস
যুদ্ধাস্ত্রে
বিনিয়োগ
ছেড়ে
ওষুধ
শিল্পে
বিশেষত
ভ্যাকসিনে
বিনিয়োগে
উৎসাহ
দানের
কথা
বলেন।
তিনি
এও
বলেন
আমরা
পরমানবিক
অস্ত্র-গুলির
পিছনে
অনেক
বিনিয়োগ
করেছি
কিন্তু
মহামারী
বন্ধ
করার
জন্য
কোনও
সিস্টেমে
আমরা
খুব
কমই
বিনিয়োগ
করেছি।
এই
বক্তব্য
থেকে
ব্যবসায়িক
ব্যাপারটা
খুবই
পরিষ্কার।
এইখান
থেকে
কেউ
না
মনে
করেন
যে
এই
করোনা
ভাইরাস
ল্যাবোটারিতে
তৈরি
করে
ছড়ানো
হয়েছে।
ঘটনাক্রমে
এই
করোনা
ভাইরাস
প্রদীপের
দৈত্য
হিসেবে
হাজির
হয়েছে।
কর্পোরেট
হাউস
তাদের
একটা
লক্ষ্যের
একটা
পর্যায়ে
পৌঁছে
গেছে।
ভ্যাকসিনের
বাজারে
আনার
প্রক্রিয়া
পর্ব
শুরু
হয়ে
গেছে।
আর
কোমড়
বেঁধে
নেমে
পড়েছে
আমেরিকার
ন্যাশনাল
ইনস্টিটিউট
অফ
এলার্জি
এন্ড
ইনফেকশাস
ডিজিজ
এর
ডিরেক্টর
ডঃ
অ্যান্টনি
ফাউসির
সাথে
বিগ
ফার্মা,
গেটস
ফাউন্ডেশন,
ক্লিনটন
গ্লোবাল
ইনিশিয়েটিভ,
চ্যান
জাকারবার্গ
ওষুধ
ব্যবসায়ীর
দল।
উদার
অর্থনীতের
যুগে
ওষুধের
বাজারেরও
বিজ্ঞাপন
প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপনের
থেকে
আলদা
হবেই।
উদাহরণ
দিলেই
স্পষ্ট
হবে।
কিছু
দিন
ধরে
সিরাম
ইনস্টিটিউট
অব
ইন্ডিয়া
সাধারণ
মানুষের
ক্রয়
ক্ষমতার
মধ্যে
করোনা
ভ্যাকসিন
তৈরি
মাত্র
২২৫
টাকার
ভ্যাকসিনের
প্রচার
চলার
পর
পুতিনের
মেয়েকে
ভ্যাকসিন।
ওষুধ
প্রস্তুতকারীর
১৬৫
সংস্থা
এই
প্রস্তুত-দৌড়ে
সামিল।
৩০টি
সংস্থা
কয়েক
কদম
এগিয়ে।
যদিও
ভ্যাকসিন
এখন
প্রমাণিত
নয়
যে
মানবদেহে
প্রয়োগ
করা
যাবে
কিনা?
ভ্যাকসিন দিতে সময় লাগবে কয়েক বছর
প্রচারটা এই রকম, এই মুহুর্তে হাতে ভ্যাকসিন চলে এলে কাল সকালেই করোনা ভাইরাস পাততাড়ি গোটাবে। মোটেই ব্যাপারটা তা নয়। আমাদের দেশে যদি প্রতিদিন ১০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া যায় তাহলে সমগ্র দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দিতে সময় লাগবে ৩ বছর ৭ মাস।
নিয়ম মেনে দেহ তুলে দেওয়া যায়
দুনিয়াব্যাপী
এই
চক্রান্তের
সাথে
শুধু
মাত্র
ওষুধ
ব্যবসায়ীরা
আছে
এটা
ভাবা
ভুল।
এর
সাথে
অনান্য
সেক্টরের
কর্পোরেট
হাউসও
আছে।
প্রচারের
মাধ্যমে
আতঙ্ককে
এমন
পর্যায়ে
নিয়ে
যাওয়া
হয়েছে।
যাতে
মনে
হচ্ছে
যে
এই
কোভিড
সার্স২
ভাইরাস
সবচেয়ে
মারাত্মক
ভাইরাস।
এই
আতঙ্ককে
কাজে
লাগিয়ে
কর্পোরেট
হাউস
তাদের
স্বার্থ
সিদ্ধি
করছে।
আতঙ্কিত
মানুষ
বিভ্রান্ত।
সেই
অর্থে
কোন
প্রতিবাদই
গড়ে
উঠছে
না।
তাই,
শুধু
দাহ
নয়
রোগ
নির্ণায়ক
ময়নাতদন্ত
(ATOPSY)-তেও
নিষেধাজ্ঞা।
রোগ
নির্ণায়ক
ময়নাতদন্ত
(ATOPSY)
হলে
ঝুলি
থেকে
চক্রান্তের
বেড়ালটা
বেড়িয়ে
আসতো।
পরিশেষে
বলাই
যায়
শেষকৃত্য
সম্পন্ন
করার
জন্য
কিছু
সুনির্দিষ্ট
নিয়ম
মেনে
মৃতদেহ
পরিবারের
হাতে
তুলে
দেওয়া
অবশ্যই
যায়।
আর
গবেষণার
জন্য
মরণোত্তর
দেহদান
জরুরি।
এই লেখার জন্য আমরা বিশেষভাবে ঋণী গণদর্পণের সম্পাদক শ্যামল চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।