হাথরাস ইস্যুতে বাংলা বনাম উত্তরপ্রদেশ, ডেরেকের 'অভিনয় প্রতিভা' নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির
ডেরেক ও'ব্রায়েন একজন 'ভালো অভিনেতা', যিনি হাথরসে গিয়ে নিজের প্রতিভা প্রদর্শন করতে চান। গতকাল তৃণমূল প্রতিনিধিদের হাথরাসে যাওয়ার চেষ্টাকে এভাবেই কটাক্ষ করেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিং। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই হাথরাসের যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন।

এক ধরনের টুরিজম চলছে
তিনি বলেন, 'এক ধরনের টুরিজম চলছে। কংগ্রেস প্রথমে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং এখন অন্য দলও সেখানে যেতে চায়। নিজেদের উপস্থিতি মিডিয়ায় প্রোজেক্ট করতে তৃণমূলও হাথরসে যেতে চায়।' তিনি আরও বলেন, 'ডেরেক ও'ব্রায়েন আমার খুব ভালো বন্ধু। তিনি একজন ভালো অভিনেতা এবং সেই প্রতিভা তুলে ধরতে চাইছেন। তিনি হাথরাসে গিয়ে তা দেখাতে চান।'

কংগ্রেসের পর তৃণমূলকে আটকে দেওয়া হয়েছিল
এর আগে বৃহস্পতিবার হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে আটক করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পরে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁদের। কংগ্রেসের পর হাথরসে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকায় পুলিশ। নির্যাতিতার বাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে তাদের আটকে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের।

প্রতিবাদে রাস্তায় তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্যদিকে, হাথরাসে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার পথে তৃণমূল প্রতিনিধিদের ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে সদর এসডিএম প্রেমপ্রকাশ মিনার বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী প্রতীমা মণ্ডল ও মমতাবালা ঠাকুর। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ শহরে মিছিল করে প্রতিবাদ জানাবেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফের হাথরাসে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী
এদিকে এদিন ফের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রাহুল গান্ধার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল হাথরাস যাচ্ছে। দুপুরে হাথরাস যাওয়ার কথা তাঁদের। জানা গিয়েছে, সেখানে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ শুনবে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলটি। এছাড়া কংগ্রেস জানিয়ে দিল যে ৫ অক্টোবর, অর্থাৎ আগামী সপ্তাহের সোমবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন হবে হাথরাস কাণ্ডের বিরোধিতায়।

ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে যোগী
এদিকে, হাথরাসের ঘটনায় সাসপেন্ড হাথরাসের পুলিশ সুপার, ডিএসপি-সহ ৫ পুলিশকর্মী। এই ঘটনায় গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল-এর প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেয় যোগী আদিত্যনাথের সরকার। পাশাপাশি এই ঘটনায় ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন তিনি। তাই গতকাল রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে একটি টুইটও করেন তিনি।