চারদিনে বাতিল ১৫৮টি ট্রেন! দুর্ভোগ বাড়িয়ে অবরোধে উত্তাল সোদপুর যেন রণক্ষেত্র
রাতের দুর্ভোগ কাটতে না কাটতেই ফের চরম দুর্ভোগে পড়়লেন শিয়ালদহ শাখার রেলযাত্রীরা। যাত্রী অবরোধের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সোদপুর স্টেশন চত্বর। কেবিনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয়।
রাতের দুর্ভোগ কাটতে না কাটতেই ফের চরম দুর্ভোগে পড়়লেন শিয়ালদহ শাখার রেলযাত্রীরা। যাত্রী অবরোধের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সোদপুর স্টেশন চত্বর। কেবিনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় প্রশাসন। বহু মানুষের ভিড়ে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সোদপুর।
সিগন্যাল মেরামতির জন্য শিয়লাদহ মেন শাখায় ১৫৮টি লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছিল শুক্রবার। তারপর থেকেই অনিয়মিত ট্রেন চলছিল। শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত কাজ চলায় স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল হবে না শিয়ালদহ মেন শাখায়। এই অবস্থায় শনিবার সকাল থেকেই অগ্নিগর্ভের চেহারা নেয় সোদপুর স্টেশন।
[আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ! প্রশ্নে শহরের নিরাপত্তা]
অনিয়মিত ট্রেন চলাচলের প্রতিবাদে অবরোধ শুরু হয়। এরই মধ্যে ভুল ঘোষণায় ঘৃতাহুতি পড়ে বিক্ষোভে। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পাল্টা কেবিনে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা। ডিসপ্লে বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়। সেখানে অগ্নিসংযোগেরও চেষ্টা করা হয়।
[আরও পড়ুন: মাঝেরহাট ব্রিজ কাণ্ডের জের! যাত্রীর চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত]
শুক্রবারই ৬৬টি লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছিল। এদিন আবার অবরোধের জেরে সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক ট্রেন। সোদপুরে দুটি লাইনে দুটি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘক্ষণ। একইভাবে পিছনের স্টেশনগুলিতেও একের পর এক ট্রেন দাঁড়িয়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হিমশিম খাচ্ছেন রেল আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন:হঠাৎই মনোভাবে 'পরিবর্তন'! অমিত শাহের ফোনের পরেই খোল করতালে ব্যস্ত অনুব্রত]