করোনা সংক্রমণে বাংলা চতুর্থ, কলকাতার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র! প্রশ্ন রাজ্যের তথ্যে ফারাক নিয়ে
করোনা সংক্রমণে বাংলা চতুর্থ, কলকাতার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র! প্রশ্ন রাজ্যের তথ্যে ফারাক নিয়ে
করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের নিরিখে এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) স্থান চতুর্থ (Fourth)। এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব লভ আগরওয়াল। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে তিনি কলকাতার (Kolkata) পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১০ রাজ্যে কেন্দ্রের তরফে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সংক্রমণের শীর্ষে ৮ জেলার মধ্যে স্থান কলকাতার
সপ্তাহে ১০%-এর ওপরে সংক্রমণ হয়েছে, এমন জেলার সংখ্যা সারা দেশে আট। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতাও। সংক্রমণ সব থেকে বেশি অরুণাচল প্রদেশের নামসাইয়ে। সেখানে সংক্রমণের হার ২০.৮৩ শতাংশ। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে মিজোরামের ছয় জেলা। সেগুলি হল লাংলেই, মামিত, চাপফাই, খাউজাল, সারচিপ, লংলাই জেলা। তালিকায় রয়েছে কলকাতা। সেখানে গত সপ্তাহের সংক্রমণের হার ১২.৫০ শতাংশ।
কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত
এদিন সকালেই জানা গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় উঠে এসেছিল কলকাতার প্রসঙ্গ। সেখানে কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে একসপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আক্রান্তের সংখ্যা দিনে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। যদিও এব্যাপারে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে সংক্রমণ ১৪ জেলায়
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে সংক্রমণ রয়েছে ১৪ জেলায়। এর মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশের চাংলাং, অসমের ডিমা হাসাও, ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা। কেরলের যে ছয় জেলা এই তালিকায় রয়েছে সেগুলি হল তিরুবন্তপুরম, কোট্টায়াম, পাথানামথিট্টা, এর্নাকুলাম, ইদুক্কি, কোঝিকোড। মনিপুরের ইস্ফল ওয়েস্ট এবং মিজোরামের খোলাশিব, আইজল, সাইহা, সাইতুয়ালও রয়েছে এই তালিকায়।
সংক্রমণ ঠেকাতে ছয়দফা পদক্ষেপের সুপারিশ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এদিন সংক্রমণ ঠেকাতে ছয়দফা পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিয়মিত করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। পাশাপাশি সংক্রমিতদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিচ্ছিন্নবাস কিংবা নিভৃতবাসে পাঠানোরও ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্রমণের গুরুত্ব বিবেচনা করে কন্টাইনমেন্ট জোন এবং বাফার জোনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। এর সঙ্গে টিকাকরণের দতি বাড়াতে হবে এবং কোভিড বিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
কেন্দ্র ও রাজ্যের তথ্যে ফারাক
করোনা মোকাবিলা ইতিমধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণের দেওয়া তথ্য এবং রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার বিস্তর ফারাক সামনে এসেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে ১ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংক্যা ৭২৫৬ জন। যদিও রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে ওই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭২৪। ডিসেম্বরে সাপ্তাহভিত্তিক হিসেবেই হিসেবের ফারাক চোখে পড়েছে।