জনসেবা করতে চায় উদয়ন, আকাঙ্ক্ষার নামে ট্রাস্ট গঠনের আর্জি!
বাঁকুড়া পুলিশের কাছে জনসেবার ইচ্ছা প্রকাশ করে উদয়ন জানায়, আকাঙ্ক্ষার নামে ট্রাস্ট গঠন করে, তার সমস্ত সম্পত্তি দেশের ও দশের কাজে বিলিয়ে দিতে চায় সে।
বাঁকুড়া, ১৫ ফেব্রুয়ারি : বাবা, মা ও প্রেমিকাকে ধারাবাহিক ভাবে খুন করার পর এখন জনসেবা করতে চাইছেন সিরিয়াল কিলার উদয়ন! এতদিনে শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে তার। বাঁকুড়া পুলিশের কাছে জনসেবার ইচ্ছা প্রকাশ করে উদয়ন জানায়, আকাঙ্ক্ষার নামে ট্রাস্ট গঠন করে, তার সমস্ত সম্পত্তি দেশের ও দশের কাজে বিলিয়ে দিতে চায় সে। পুলিশে যেন এই বিষয়টি বিশেষভাবে দেখে।[উদয়নের গোপন জবানবন্দির আবেদন আদালতে, রায়পুর পুলিশ চায় ট্রানজিট রিমান্ডে]
পর পর তিন খুন। খুন করার পর দেহ বাড়িতে পুতে রাখা। আরও খুনের পরিকল্পনা। তারপর নানা জালিয়াতির অভিযোগ তো রয়েইছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশের জালে ধরা পড়ার পর উদয়ন বুঝতে পেরে গিয়েছিল তার ফাঁসি অবধারিত। তার খেলা শেষ। তাই ভাবাবেগ এল এতদিনে। স্বীকার করল সমস্ত অপরাধ। তারপর মানুষের সেবায় সমস্ত সম্পত্তি নিয়োজিত করার অনুরোধ।[আইনজীবীকে থামিয়ে উদয়নের স্বীকারোক্তি, 'আমিই খুন করেছি']
পুলিশ উদয়নের এই ইচ্ছাকে খুব একটা খারাপ চোখে দেখছে না। সাধারণভাবে মনে হতে পারে, এটা উদয়নের একটা চালাকিও হতে পারে। ধূ্র্ত উদয়ন চায়, ভালো মানুষ সেজে এখন ফাঁসির সাজাটাকে অন্তত যাবজ্জীবনে নিয়ে আসতে। তাই এইসব কাণ্ড কারখানা করছে সে। পুলিশের জেরার মুখে কিংবা আদালতে বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তি করছে, আমিই খুন করেছি। আমাকে শাস্তি দিন।'
তারপরই তাঁর অনুরোধ, আকাঙ্ক্ষার নামে ট্রাস্ট করে তার সম্পত্তি জনসেবায় কাজে লাগাতে। বাবা-মাকে নৃশংসভাবে খুন করে সম্পত্তি হাতানো, তারপর সমস্ত মিথ্যে ও অপকীর্তি ধরা পড়ার ভয়ে প্রেমিকাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ভুল বুঝতে পারা। তখন শেষ হয়ে গিয়েছে সব কিছু। তিন-তিনটি জীবন শেষ, শেষ নিজেও। তখন সে প্রেমিকাকে নামে ট্রাস্ট করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছে!
যাই হোক পুলিশ বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। উদয়নের সম্পত্তি জনসেবায় যাতে কাজে লাগে, তাতে আপত্তি থাকতে পারে না। এদিকে আগামীকাল জবানবন্দি দেবে উদয়ন। তারপর বাবা-মাকে খুনের ঘটনার তদন্ত তাকে রায়পুরে নিয়ে যাবে পুলিশ।