ঠাকুমার কোলে কোলে একরত্তি শিশুরও দিন কাটছে জেলের অন্ধকারে, এক লহমায় ছারখার
মা আত্মঘাতী হয়েছেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে বাবা-দাদুরও। অবশেষে গ্রেফতার করা হল ঠাকুমাকেও। আর ঠাকুমার গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গেও দু-বছরের শিশুরও স্থান হল জেলে।
মা আত্মঘাতী হয়েছেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে বাবা-দাদুরও। অবশেষে গ্রেফতার করা হল ঠাকুমাকেও। আর ঠাকুমার গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গেও দু-বছরের শিশুরও স্থান হল জেলে। আদালতে পেশের পর শিশুর ঠাকুমার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ঠাকুমার সঙ্গে একরত্তি নাতিরও স্থান হয়েছে শ্রীঘরে।
বর্ধমানের নর্ডা গ্রামে মা আত্মঘাতী হওয়ার পর থেকে দু-বছরের নাতির একমাত্র অবলম্বন ছিলেন ঠাকুমা। কিন্তু মাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ, ঠাকুমাকেও পুলিশ গ্রেফতার করতে শিশুর আশ্রয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। শেষমেশ আদালতের রায়ে ঠাকুমার সঙ্গে জেলেই যেতে হয় দু-বছরের শিশুকে।
মাস খানেক আগে পারিবারিক অশান্তির জেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন মিঠু সমান্ত নামে এক গৃহবধূ। ছেলেকে খেতে না দিয়ে মোবাইলে ডুবে থাকার জন্য শাশুড়ি খোঁটা দিয়েছিলেন। তারপরই আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরই মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে একে একে গ্রেফতার করা হয় শিশুটির বাবা, দাদু ও দিদাকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিশুটি মাতৃহারা হওয়ার পর থেকেই ঠাকুমার কোল ছাড়ছে না। মামার বাড়ির সদস্যরা তাকে নিয়ে যেতে চাইলেও উপায় নেই। এদিকে শিশুটির মায়ের মৃত্যুতে অভিযুক্ত ঠাকুমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শেষমেশ শিশুটিকেও স্থান দিতে হয়েছে আদালতে। তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথাও বলেছে আদালত।