ভোট বাতিল মন্ত্রী-সহ তৃণমূলের ২ বিধায়কের! ক্ষিপ্ত মমতার 'রোষে' ফিরহাদ
রাজ্যসভা নির্বাচনে ভোট বাতিল পশ্চিমবঙ্গ থেকেও। তৃণমূল সূত্রে খবর, শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতির ভোট বাতিল হয়েছে।
রাজ্যসভা নির্বাচনে ভোট বাতিল পশ্চিমবঙ্গ থেকেও। তৃণমূল সূত্রে খবর, শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতির ভোট বাতিল হয়েছে। আরও কয়েকজন তৃণমূল বিধায়কের ভোট দান নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। যদিও এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলেই। ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কোন বিধায়ক কোন প্রার্থীকে ভোট দেবেন তা আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল জেলা। বিধায়ক তথা মন্ত্রীদের বলে দেওয়া হয়েছিল পরিচয়পত্রের কথা। হাতে কলমে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে। 'নজরদারি'-র দায়িত্বে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সিরা।
সূত্রের খবর, এতসব করার পরেও তৃণমূলের তরফে দুটি ভোট বাতিল হওয়ায় ক্ষিপ্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রীর বিরক্তির মুখে পড়েন। কেন বিভ্রান্তি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, একাধিক বিধায়কের ভোট নিয়ে সংশয়ে ছিলেন তৃণমূলের ম্যানেজাররা। ফলে নিজেদের চার প্রার্থীকে বাড়তি ভোট দিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভির ভোট কিছুটা কমানো হয়। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় তুলনামূলক কম ভোট পেয়েছেন অভিষেক মনু সিংভি।
জানা গিয়েছে, ব্যালট পেপারে দলীয় প্রার্থীর পাশে বাংলা অথবা রোমান হরফে ১ লেখার বদলে একটি দাগ কেটেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। এই কথা জানার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, একজন মন্ত্রী হয়েও কেন তিনি ঠিক করে ভোট দিতে পারেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাকির হোসেনের ভোট দেওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের আবির বিশ্বাসকে।
অন্যদিকে, সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভোট দেওয়ার সময় হাত কেঁপে যাওয়ায় ব্যালট পেপারে ঠিক চিহ্ন দিতে পারেননি তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতি। ফলে সেই ভোটও বাতিল হয়।