শব্দ দূষণ কমাতে রাজ্যে বসানো হবে দু’হাজার শব্দ নিরীক্ষণ ইউনিট
রাজ্যে শব্দদূষণ রোধ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে দু’হাজার শব্দ নিরীক্ষণ ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন সরকারের এক শীর্ষ কর্তা। রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড মোতায়েনের জন্য বিভিন্ন পুলিশ থানাকে এই ইউনিটগুলি দিচ্ছে।

পুলিশ শব্দ নিরীক্ষণ ডিভাইস নিয়ে কাজ করবে
দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে কলকাতা ও সংলগ্ন পুলিশ থানায় ইতিমধ্যেই ৭০০ শব্দ নিরীক্ষণ ইউনিট দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শব্দ দূষণের সূত্র সনাক্ত করা যায় কন্ঠস্বর, নির্মাণ এলাকার ক্রিয়াকলাপ, ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে লাউডস্পীকারের ব্যবহার ও ঘন বসতি এলাকায় খুব কম স্কেলের পুরনো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে।' দূষণ পর্ষদ বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোকে যুক্ত করবে। তাই আমরা এই ডিভাইসগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেব, যারা গোটা বছরভর বাজার এলাকা সহ বিভিন্ন শোরগোল পূর্ণ এলাকার শব্দ রেকর্ড করবে এবং আমরা সেই ডেটা বিশ্লেষণ করব।'

কিভাবে কাজ করবে এই ডিভাইসগুলি
এর আগে কালী পুজো বা অন্য যে কোনও উৎসবে পুলিশ হ্যান্ড-হেল্ড শব্দ নিরীক্ষণ ডিভাইস ব্যবহার করত। কারণ আতসবাজি ফাটানোর কারণে শব্দ দূষণের মাত্রা বেড়ে যেত। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রত্যেক জেলা শহরে শব্দ নিরীক্ষণ স্টেশন বসানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই শব্দ নিরীক্ষণ স্টেশনগুলি এক-একটি এলাকার ডেসিবল গণনা করবে এবং দূষণ পর্ষদকে সেই এলাকার পরিস্থিতি বুঝতে সহায়তা করবে। এটা বিশেষ করে বিভিন্ন উৎসবের সময় খুবই কাজ দেবে, পাশাপাশি দিন ও রাতের শব্দের মধ্যে পার্থক্য কতটা তা বুঝিয়ে দেবে। শব্দ বিশ্লেষণের পর দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে ওই এলাকার শব্দের মান সঠিক রাখতে নির্দেশ দেওয়া হবে।

কলকাতায় রয়েছে ১০টি শব্দ মনিটরিং স্টেশন
জানা গিয়েছে, বাগবাজার, পাটুলি, নিউ মার্কেট, কসবা, সল্টলেক, টালিগঞ্জ সহ কলকাতায় ১০টি মনিটরিং স্টেশন ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বছর ধরে কাজ করছে এবং আরও মনিটরিং স্টেশন শহরে বসবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ওই আধিকারিক এটা স্পষ্ট করে জানাননি যে কতগুলি শব্দ মনিটরিং স্টেশন রাজ্যে বসানো হবে কিন্তু তিনি জানিয়েছেন যে এ বিষয়ে টেন্ডার ডাকার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সমালোচনায় সুভাষ দত্ত
বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত যদিও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সমালোচনা করে জানিয়েছেন যে তারা শব্দ দূষণের সূত্রগুলি কোথায় কোথায় সে বিষয়ে জানে। তাও এত দেরি করে পদক্ষেপ করছে। শব্দ দূষণের পাশাপাশি তিনি পরিবেশ দূষণ নিয়েও একহাত নেয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের। তিনি জানান, বিভিন্ন প্যাথোলজিকাল ল্যাব থেকে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে অথচ সরকারি সংস্থা তা জেনেও কোনও পদক্ষেপ করছে না।

বাতাসে ছড়ায় করোনা, বাঁচতে হলে কী করবেন, জেনে নিন কয়েকটি মোক্ষম উপায়