নীল তিমির মারণ খেলায় আসক্ত ছাত্র, শিক্ষকের হাতে ধরা পড়ে কোনওমতে রক্ষা
হুগলিতে স্কুলের ছাত্রের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি ছুরি। তারপরই ওই ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় সে ব্লু হোয়েলে আসক্ত।
দিন দিন রাজ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নীল তিমির মারণ নেশা। নীল তিমির এই মারণ খেলায় বারবার ফাঁদে পড়ছে কিশোর-কিশোরীরা। এই মরণ ফাঁদ থেকে বের হতে পারছেন না কিছুতেই। নীল তিমির হাতছানিতে কেউ আত্মঘাতী হচ্ছে, কেউ রক্ষা পাচ্ছে কোনওমতে। এমনই ঘটনা এবার হুগলির রিষড়াতে। মাহেশ রামকৃষ্ণ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র অর্ঘ্য ভট্টাচার্য রক্ষা পেল শিক্ষকের তৎপরতায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদাতেও হল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
হুগলিতে স্কুলের মধ্যেই অর্ঘ্যের ব্যবহারে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। শিক্ষক গৌতম পাত্রের সন্দেহ হয় ছাত্রটিকে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে অর্ঘ্যের ব্যাগে তল্লাশি চালানো হয়। ওই ছাত্রের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি ছুরি। তারপরই ওই ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় সে ব্লু হোয়েলে আসক্ত।
ব্লু হোয়েলের মারণ খেলায় মেতে সে ইতিমধ্যেই ভোরে ওঠা, গান শোনার নির্দেশ পালন করে ফেলেছে। এবার ধীরে ধীরে সে প্রবেশ করছিল বিপদের দিকে। তবে বিপদ ঘনিয়ে আসার আগেই ছাত্রটি রক্ষা পায়। শিক্ষকের দূরদর্শিতায় এ যাত্রায় রক্ষা পায় অর্ঘ্য। এরপর অর্ঘ্যের বাবাকে ডাকা হয় স্কুল থেকে।
ওই ছাত্রের বাড়ি বালির ১৭ নম্বর কৈলাস সিং লেনে। ছাত্রটি ইতিমধ্যে ১১টি স্টেপ অতিক্রম করে গিয়েছে। এরপরই বিপদের সূত্রপাত। তবে তারই আগে রক্ষা পায় অর্ঘ্য। ছাত্রটির বাবাকে এই ব্যাপারে ওয়াকিবহাল করা হয়েছে। অর্ঘ্যকে নজরবন্দি রাখার পরামর্শ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদাতেও এক ছাত্র এই ব্লু হোয়েলের ফাঁদে পড়ে। ছাত্রটি কম্পাস দিয়ে হাত কেটে নীল তিমির ছবি আঁকে। পরে অবশ্য ধরা পড়ে যাওয়ায় প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়। ছাত্রটি মোবাইল থেকে এই মারণ গেম আনইনস্টল করে দিয়েছে। নবম স্টেপে এই হাত কেটে তিমি আঁকার নির্দেশ ছিল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রতিদিন একটা না একটা জায়গায় এই ঘটনা আতঙ্ক বাড়াচ্ছে অভিভাবকদের মধ্যে। এই বিপদ থেকে সন্তানদের বাঁচানোর রাস্তা খুঁজে চলেছেন অভিভাবকরা।