চাঁদ ছোঁয়ার চেষ্টায় যাদবপুর, চন্দ্রযানের সফল অবতরণের জন্য ইসরোর প্রজেক্টে গবেষণারত দুই অধ্যাপক
চাঁদ ছোঁয়ার চেষ্টায় যাদবপুর, চন্দ্রযানের সফল অবতরণের জন্য ইসরোর প্রজেক্টে গবেষণারত দুই অধ্যাপক
চন্দ্রযান-২’এর বিক্রম ল্যান্ডারের বেদনাদায়ক পরিণতির কথা গোটা পৃথিবী জানে। চাঁদের খুব কাছাকাছি পৌঁছেও সফল অবতরণ সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় বর্তমানে ভারতের চন্দ্রাভিযান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কি ভাবে চাঁদ সহ ও অন্যান্য গ্রহে মহাকাশযান গুলির সফল অবতরণ করানো যায় সেই বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।
চন্দ্রযান ২-র করুণ পরিণতির পর বর্তমানে যাদবপুরের উপর আস্থা রাখতে চাইছে ইসরো
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা চন্দ্রযান ২-র করুণ পরিণতির পরেই এখন খুব সাবধানেই পরবর্তী মিশনের পথে এগোতে চাইছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। বিশেষজ্ঞদের মতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চমানের গবেষণা পদ্ধতির কথা ইতিমধ্যেই সর্বজনবিদিত। তাই এইবার এই ক্ষেত্রে যাদবপুরের উপরেই এই বিষয়ে গবেষণার দায়ভার তুলে দিয়েছে ইসরো।
সফল অবতরণের জন্য নতুন কোন পদ্ধতির ব্যবহার করা হচ্ছে ?
চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান সফলভাবে ‘ফেদার টাচ ল্যান্ডিংয়ের' জন্য বর্তমানে এই একটি নতুন পদ্ধতির অনুসরণ করা হচ্ছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ গুপ্ত। সূত্রের খবর, সহজ বাংলায় একে বলা হচ্ছে চিলের শিকার ধরার পদ্ধতি। অর্থাৎ চিল যেভাবে ঘুরতে ঘুরতে শিকারের কাছে নেমে আসে, ঠিক সেভাবেই নামবে এই যান। নামার সময় চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলতে থাকবে, যার ফলে যে জায়গায় যানটি প্রথম পা রাখতে চলছে সেই জায়গা সম্পর্কেও একটা সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে।
যাদবপুরেই তৈরি হয়েছে একটি মডেলও
যদিও ভারতের পরবর্তী মিশন নিয়ে এখনি কিছু ধন্দ দেখা পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চন্দ্রযান-৩-এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকায়, সেখানে এই প্রযুক্তির কতটা বাস্তবিক ব্যবহার সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ইতিমধ্যেই। যদিও চাঁদ ছাড়াও অন্যান্য গ্রহের ক্ষেত্রেও যাদবপুরের গবেষণালব্ধ এই পদ্ধতির ব্যবহার হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। কোনও ল্যান্ডার নামার সময় সর্বদাই একটি বিশেষ পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়। মাধ্যাকর্ষণের টানে সেটি গ্রহ বা উপগ্রহ পৃষ্ঠে নামতে থাকে। এই অবতরণের সময়েই ল্যান্ডারটি যাতে সবেগে গ্রহপৃষ্ঠে পড়ে ভেঙে টুকরো না হয়ে যায়, তার জন্য থাকে ‘থ্রাস্টার' প্রযুক্তির বিশেষ ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, বর্তমানে যানটির একটি মডেলও বানিয়েছেন যাদবপুরের গবেষকেরা। ড্রোনের সঙ্গে ক্যামেরা সংযুক্ত করে চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা।
কাদের তত্ত্বাবধানে চলছে গবেষণা ?
অমিতাভ গুপ্ত ছাড়াও এই প্রজেক্টে কাজ করছেন ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়ন চ্যাটার্জী। পাশাপাশি যাদবপুরের এই গবেষণায় স্নাতক স্তরের এক ছাত্রও অবদান রেখেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও গবেষণা প্রক্রিয়ায় সাহায্য করছেন কয়েকজন পিএইচডি এবং পোস্ট ডক্টরাল গবেষকেরা। এদিকে ইসরোর এই প্রজেক্টে যাদবপুরের দুই গবেষক যুক্ত থাকায় স্বভাবতই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে।
বিজেপির অনুষ্ঠানে হাজির তৃণমূলের হেভিওয়েট বিধায়ক, একুশের আগে জল্পনা তুঙ্গে