পর পর চারবার, পুলিশ হত্যায় অভিযুক্ত বিচারাধীন বন্দি পালাল কাঁথি সংশোধনাগার থেকে
জেলরক্ষীদের বোকা বানিয়ে ফের পালিয়ে গেল পুলিশ হত্যায় অভিযুক্ত বিচারাধীন বন্দি কর্ণ বেরা। এবার সংশোধনাগারের জানলার রড কেটে আর বিচারাধীন বন্দি নাজির হোসেনকে নিয়ে পালায় সে।
পূর্ব মেদিনীপুর, ২ মে : জেলরক্ষীদের বোকা বানিয়ে ফের পালিয়ে গেল পুলিশ হত্যায় অভিযুক্ত বিচারাধীন বন্দি কর্ণ বেরা। এবার সংশোধনাগারের জানলার রড কেটে আর বিচারাধীন বন্দি নাজির হোসেনকে নিয়ে পালায় সে। এর আগে তিনবার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় কর্ণ।
এই কাঁথি সংশোধনাগার থেকেই দু'বার পালিয়ে যায় সে। তারপর তমলুক জেলা সংশোধনাগার থেকেও একবার পালিয়ে যায়। প্রথমে চুরি ও ডাকাতির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল ওই বন্দি। তারপরই একদিন তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে পালায় সে। এরপর ফের ধরা পড়ে। কাঁথির জেল থাকা অবস্থায় দু'বার পালিয়ে যায়। এর আগে ওই বিচারাধান বন্দি পালিয়ে যাওয়ার পরই খুন হন এক পুলিশ অফিসার। এই পুলিশ খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির কর্ণের দিকেই। ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি এই পুলিশ খুনের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, কর্ণ জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর মহিষাদলের কাঞ্চনপুরের কাছে নবকুমার হাইথ নামে এক পুলিশকর্মী তাকে দেখতে পান। তারপরই ধাওয়া করে ধরে পেলেন কর্ণকে। তল্লাশি চালানোর সময় আমচকাই হাতের ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে গুলি করে দেন নবকুমারবাবুকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃ্ত্যু হয় তার।
তারপরই গ্রেফতার করা হয় কর্ণকে। সেই থেকেই কাঁথির সংশোধনাগারে ছিল কর্ণ। এরই মধ্যে সঙ্গী জোগাড় করে জানলার রড কেটে সে পালিয়ে যায় জেল থেকে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সংশোধানাগারে। পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও উত্তেজনা। পুলিশ দুই পলাতক বন্দির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।