করোনার আশঙ্কায় উৎসবের দিনে বিধিনিষেধ জারির আর্জি নিয়ে জোড়া মামলা
করোনার আশঙ্কায় উৎসবের দিনে বিধিনিষেধ জারির আর্জি নিয়ে জোড়া মামলা
রাজ্যে
করোনা
অতিমারী
পরিস্থিতিতে
আগামীদিনের
উৎসবের
কথা
ভেবে
রাজ্যবাসীকে
করোনা
সংক্রমনের
বাড়বাড়ন্তের
হাত
থেকে
রুখতে
আরও
একটি
জনস্বার্থ
মামলা
দায়ের
হল
কলকাতা
হাইকোর্টে।
মঙ্গলবার
হাওড়ার
বাসিন্দা
জনৈক
অজয়
কুমার
দে
এই
মামলা
দায়ের
করেছেন।
আগামী
বৃহস্পতিবার
এই
মামলার
শুনানির
সম্ভাবনা
রয়েছে
হাইকোর্টের
বিচারপতি
সঞ্জীব
বন্দ্যোপাধ্যায়
ও
বিচারপতি
অরিজিত
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ডিভিশন
বেঞ্চে।
মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, দুর্গাপুজোর মতো এবার রাজ্যে অনুষ্ঠিত আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত কালীপুজো ও দেওয়ালি, কার্তিক পুজো, ছটপুজো এবং জগদ্ধাত্রীপুজোতেও জেলাভিত্তিক ভাবে একইরকম বিধিনিষেধ আরোপে করুক কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের কাছে এমনই আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারি অজয় কুমার দে।
এছাড়াও জেলা ভিত্তিতে ছট পুজোর ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রতিটি জলাশয়ের ঘাটে বিশেষ বিধি নিষেধ আরোপ করুক আদালত। করনা ভাইরাসে বায়ুদূষণ হলে করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে তা ভয়ঙ্কর বলেও দাবি করছেন চিকিৎসকরা, তাই উৎসবের দিন গুলোতে যে পরিমাণ বাজি পোড়ানো হয় বায়ু দূষণের মাত্রা বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই আদালতের কাছে মামলাকারীর আর্জি যাতে বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে আদালত। এবং বাজি উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে রাজ্য সরকার কিছু আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করুক।
অন্যদিকে, কালী পুজো দেওয়ালিতে এই বাজি পোড়ানো বন্ধের আর্জি নিয়ে আরো একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করতে এই মামলাটি দায়ের করেছেন জনৈক অনুসূয়া ভট্টাচার্য।
তাঁর আইনজীবীর জানান, প্রতিবছরই অতিরিক্ত পরিমাণ বাজি পোড়ানোর ফলে বায়ুদূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যাতে বৃদ্ধ থেকে শিশু এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরাও ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি, বর্তমানে এই করো না অতিমারি পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা এত বেড়ে গিয়েছে সে কথা মাথায় রেখে রাজ্যে আগত শীতের মৌসুম শুরুর মুখে রাজ্যবাসীর মৌলিক অধিকার রক্ষার স্বার্থে এই পরিস্থিতিতে উৎসবের দিন গুলোতে রাজ্যে যথেষ্ঠ বাজি পোড়ানো বন্ধের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক আদালত।
পটাশপুরের বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ বহাল