পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে'র জের! কালনায় গুলিতে মৃত ২
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবারের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। অভিযোগ গোলমালের জেরে গুলিতে মৃত পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ২।
ঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবারের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের গোলমালের জেরে গুলিতে মৃত পঞ্চায়েত প্রধান-সহ দুই। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিধায়কের দাবি, ঘটনায় দলের কোনও যোগ নেই।
দীর্ঘদিন ধরেই কালনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছিল। অভিযোগ দুই গোষ্ঠীর একদিকে পঞ্চায়েত প্রধান সুকুর আলি এবং অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সাদেক শেখ।
শনিবার সন্ধেয় পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠকের পর কালনার সুলতানপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান সুকুল আলি। তিনি ছিলেন, দলের অপর সদস্য বাপন শেখের বাইকে। ভর সন্ধেয় জনবহুল এলাকায় বাইকে এসে পাঁচ থেকে সাতজনের দল বাপন ও সুকুর আলির ওপর হামলা চালায়। প্রথমে বাইক চালক বাপন শেখকেক গুলি করা হয়। বাইক থেকে পড়ে যান বাপন। এরপর সুকুর আলিকে মাথায় লাঠি দিয়ে মারা হয়। পরে বুকে গুলি করা হয়।
সঙ্গে সঙ্গে দু-জনকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাপন শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সুকুর আলিকে কলকাতায় পাঠানো হয়। রাতে এসএসকেএম-এ মৃত্যু হয় সুকুর আলির।
সুকুর আলির পরিবারের তরফে হামলার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সাদেক শেখকে দায়ী করা হয়েছে। যদিও স্থানীয় বিধায়কের দাবি, হামলা ও খুনের ঘটনায় দলের কোনও যোগ নেই। কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের।