হাতে মোবাইল, ব্যস্ত নার্স! অক্সিজেন না মেলায় ২ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
অক্সিজেনের অভাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রামপুরহাটে এক যুবক ও এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ। প্রথম ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট জেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে।
অক্সিজেনের অভাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রামপুরহাটে এক যুবক ও এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ। প্রথম ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট জেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে। দুটি ঘটনাতেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান আত্মীয়রা।
রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ হয়ে স্থানীয় যুবক নবিরুদ্দিন শেখকে রামপুরহাটের কাষ্ঠগড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসকরা ব্রেন টিউমার হওয়ার কথা জানিয়ে, সবসময় অক্সিজেন দেওয়ার কথা বলেছিলেন। রবিবার তাঁকে ভর্তি করা হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই নবিরুদ্দিনের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, সিলিন্ডারে অক্সিজেন না থাকায় শ্বাসকষ্টে মারা গিয়েছে নবিরুদ্দিন। পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক এবং নার্সদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর খবর অস্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স তৃপ্তি রায়।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে রামপুরহাট জেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে। সাত মাসের শিশু কন্যা বিনীতা ভদ্রকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় রবিবার রাতেই। দিন তিনেক ধরে জ্বরে ভুগছিল শিশুটি। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়ে জ্বর না কমায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে শিশুটিকে অক্সিজেন দেওয়ার পরামর্শ দেন কর্তৃব্যরত চিকিৎসক পিনাকী দে। নির্দেশ মতো কাজও হয়। কিন্তু রাতে অক্সিজেনের নল খুলে যায় বলে অভিযোগ। কর্তব্যরত নার্সের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান শিশুটির সঙ্গে থাকা ঠাকুমা স্বপ্না ভদ্র। অভিযোগ কর্তব্যরত নার্স রোগীর আত্মীয়কেই অক্সিজেনের নল লাগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সময় ওই নার্স মোবাইলেই ব্যস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এরপর গভীর রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিয়ে পরিবারের তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালের সুপার সুবোধ মণ্ডল।