বিজেপির পালে গা ভাসাতে পারেননি ‘তৃণমূলী’ বিধায়করা, ঘরওয়াপসি-গুঞ্জনের নেপথ্যে কী কাহিনি
বিজেপিতে টলমল অবস্থা তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া অনেক বিধায়কেরই। তাঁদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করা সুনীল সিং ও বিশ্বজিৎ দাসও আছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপিতে টলমল অবস্থা তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া অনেক বিধায়কেরই। তাঁদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করা সুনীল সিং ও বিশ্বজিৎ দাসও আছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই কারণেই বিজেপির অলিন্দ থেকে তাঁরা বেরিয়ে যেতে চান বলেও ধারণা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।
দুই বিধায়কের ঘরওয়াপসি নিয়ে গুঞ্জন চলছেই
বিশ্বজিৎ ও সুনীল বিধানসভা অধিবেশনের শেষদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ঘরে গিয়ে দীর্ঘ ২০ মিনিট কথা বলেছেন। তারপর থেকেই দুই বিধায়কের ঘরওয়াপসি নিয়ে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। এরই মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে নিরাপত্তাও প্রদান করা হয়েছে তাঁদেরকে। যদিও তাঁরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু তাতে জল্পনা থামার কোনও লক্ষণ নেই।
সুনীল ও বিশ্বজিৎ উভয়েরই ভিন্নতর সমস্যা
এখন প্রশ্ন কেন হঠাৎ তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্পর্শে এলেন। শুধুই কি সৌজন্য, নাকি এর ভিতরে অন্য কোনও সমীকরণ রয়েছে। সুনীল ও বিশ্বজিৎ উভয়েরই ভিন্নতর সমস্যা রয়েছে। বিশ্বজিতের সমস্যা বিজেপির পালে গা ভাসাতে না পারা। আর সুনীলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠের মতানৈক্য। তবে উভয়েই দোলাচলে।
বিজেপির পালে গা ভাসাতে পারেননি দেড় বছরেও
বিশ্বজিৎ দেড় বছর বিজেপির সংসারে রয়েছেন। কিন্তু মানিয়ে নিতে পারেননি এখনও। এবার টিকিট পাওয়া নিয়েও তিনি সংশয়ে। কারণ বনগাঁর বিধায়ক হয়েও মতুয়া মহাসঙ্ঘের নতুন সঙ্ঘাধিপতি বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা তৈরি হয়নি। আর বনগাঁ সংসদীয় এলাকায় বিধানসভার টিকিট বণ্টনে শান্তনুর কথাই শেষ কথা হবে তা বলাই বাহুল্য।
শান্তনুর সঙ্গে বিশ্বজিতের হৃদ্যতা তৈরি হয়নি আদৌ
বিজেপি কিছুতেই শান্তনুকে চটাবে না। শান্তনুর সঙ্গে যেহেতু বিশ্বজিতের সম্পর্ক ভালো নয়, সেহেতু শান্তনুর তরফ থেকে অন্য নাম আসবে ধরেই নেওয়া যায়। আর বিজেপি টিকিট না দিলে বিশ্বজিতের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। বিশ্বজিৎ মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বিধায়ক। কিন্তু শান্তনু ঠাকুরকে বোঝানোর দায়িত্বও এখন হাতবদল হয়েছে। মুকুলের হাত থেকে দায়িত্ব বর্তেছে শুভেন্দুর কাঁধে।
অর্জুন সিংও যদি সুনীলের ব্যাপারে হাল ছেড়ে দেন!
আর সুনীল সিংকে যিনি বিজেপিতে এনেছিলেন সেই বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক বর্তমানে সুখকর নয় বলেই ঘনিষ্ঠ মহলে শোনা যায়। সেই কারণেই সুনীল ওই রাজনৈতিক বৃত্ত থেকে সরে আসতে চান। অর্জুন সিংও সুনীলের ব্যাপারে হাল ছেড়েছেন। অর্জুন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে জানিয়েছেন আমি বললে যদি কাজ হত, তাহলে ওরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতে পারত? উভয়কে নিয়ে তাই বিজেপিও দোলাচলে।