অভিষেকের সভায় 'অনুপস্থিত' নিজের কেন্দ্রের তৃণমূলের দুই বিধায়ক, জল্পনা তুঙ্গে
সাতগাছিয়ায় সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(abhishek banerjee)। কার্যত নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবার থেকে ২০২১-এর জন্য নির্বাচনী প্রচারও শুরু করে দিলেন তিনি। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষও করলেন। কিন্তু সেই সভায় নিজের কেন্দ্রের অধীন থ
সাতগাছিয়ায় সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(abhishek banerjee)। কার্যত নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবার থেকে ২০২১-এর জন্য নির্বাচনী প্রচারও শুরু করে দিলেন তিনি। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষও করলেন। কিন্তু সেই সভায় নিজের কেন্দ্রের অধীন থাকা দুই বিধানসভা কেন্দ্রের দুই বিধায়ক অনুপস্থিত থাকায় কোথাও যেন খামতি থেকে গেল।
ঘর ভাঙল রাজ্যের প্রভাবশালী সংখ্যালঘু মন্ত্রীর! বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূলকে আক্রমণ দুই ভাইয়ের
মোদীকে চ্যালেঞ্জ, শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ অভিষেকের
এদিনের সাতগাঠিয়ার সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করেন। তিনি বলেন, সরাসরি নাম বলার ক্ষমতা নেই। তাই তারা ভাইপো বলে আক্রমণ করছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, তাঁর (অভিষেক) নাম নিয়ে বলার বুকের পাটা নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীরও। এই সভা থেকে দিলীপ ঘোষকে গুণ্ডা বলেও আক্রমণ করেন তিনি। এদিনের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সভায় যাঁরা এসেছেন, তাঁদের কতজন লিফটে উঠেছেন, কতজনই বা প্যারাশুটে নেমেছেন। প্রসঙ্গ শুভেন্দু অধিকারী অরাজনৈতিক সভা থেকে মন্তব্য করেছিলেন তিনি লিফটেও ওঠেননি, প্যারাশুটেও নামেননি। এরপরেই অভিষেক বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস হল মাটির দল। এখানে কেউ লিফটে করে ওপরে উঠলে, তার পতন অবশ্যম্ভাবী।
সভায় অনুপস্থিত একাধিক বিধায়ক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের সাত বিধানসভাই তৃণমূলের দখলে। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ফলতার তমোনাশ ঘোষের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিনের সভায় দেখা যায়নি ডায়মণ্ডহারবারের দীপক হালদার এবং মহেশতলার দুলাল দাসকে।
দলের বিরুদ্ধে ফোঁস করেছেন দীপক হালদার
দিন তিনেক আগে ফেসবুক পোস্টে ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপককুমার হালদার বলেছেন, বারবার সংবাদ শিরোনামে দেখে নিশ্চিত হলাম যে ডায়মন্ডহারবার বিধানসভায় নতুন বিধায়ক তৈরি হয়েছেন। তিনি বলেছেন, খুব ভাল। বিধায়ক মহাশয় কাজ চালিয়ে যান। তিনি আরও বলেছেন, ডায়মন্ডহারবারের গণদেবতারা সব দেখছেন, ঠিক সময়ে উত্তর পেয়ে যাবেন। শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ছাড়ার ঘটনাকে দুঃখজনক বলেও বর্ণনা করেছেন দীপ হালদার। তবে স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে খবর, এলাকায় বিধায়কদের সেরকম কোনও কাজ নেই। সব কাজ করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল যুব কংগ্রেসে নেতা, কর্মীরা। সেই বিষয়টিই মেনে নিতে পারছেন না দীপক হালদারের মতো বিধায়করা।
মালদহ জেলা কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন দুই নেত্রী
তবে শুধু এদিনই নয়, শনিবার কলকাতায় তৃণমূলের মালদহ জেলা কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সাবিত্রী মিত্র এবং জেলা সভাপতি মৌসম্ বেনজির নুর। তবে সামিত্রী মিত্রের বিরোধী গোষ্ঠীর কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, নিজের অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে মৌসম নুর নিজের অসুস্থতাকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের খবর, তাঁকে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে নিয়ে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীই। ফলে ২০২১-এর আগে এই দুই নেত্রীকে নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে।