পরকীয়ার করুণ পরিণতি! বিবাহিত ‘প্রেমিক-যুগল’কে এক ঘরে দেখে শিউরে উঠেছিল সবাই
দুজনেরই ঘরসংসার ছিল, স্বামী-স্ত্রী-সন্তানাদি ছিল। তবু বাধ মানেনি প্রেম। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েন লেগেই ছিল। লেগেই ছিল অশান্তি। দিন চারেক আগে দুজনে বেপাত্তাও হয়ে গিয়েছিলেন।
দুজনেরই ঘরসংসার ছিল, স্বামী-স্ত্রী-সন্তানাদি ছিল। তবু বাধ মানেনি প্রেম। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েন লেগেই ছিল। লেগেই ছিল অশান্তি। দিন চারেক আগে দুজনে বেপাত্তাও হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর আবার ফিরেও আসেন তাঁরা। এরপরই ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হুগলির গুপ্তিপাড়ায় একটি ঝুপড়ি থেকে উদ্ধার হল দুজনের ঝুলন্ত দেহ।
একই দড়িতে তাঁরা ঝুলছে। গুপ্তিপাড়া স্টেশন সংলগ্ন একটি ঝুপড়ি থেকে নাড়ু বৈদ্য ও রাধিকা বাঁশফোরের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনেই এই পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে স্পষ্ট হওয়া যাবে। তবে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ও স্থানীয়দের বয়ান অনুযায়ী অনুমান, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে পরকীয়া।
উভয় পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি লেগেছিল। বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও উভয়ে সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেনি। উভয়েরই সংসার ছিল। সেই সংসাররে মায়া কাটিয়ে তাঁরা প্রেমের টানে পালিয়ে গিয়েছিল বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। নিজেরাই ফিরে এসেও শেষমেশ আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তাঁরা।