অর্ধনগ্ন সিঁদুরমাখা তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার তমলুকে, নন্দীগ্রামেও মুণ্ডহীন দেহ, চাঞ্চল্য
পূর্ব মেদিনীপুর, ১৫ অক্টোবর : মুণ্ডহীন তরুণীর দেহ, সারা শরীরে সিঁদুরমাখা। তবে কি 'বলি' দেওয়া হয়েছে তাঁকে? মৃতদের উদ্ধারের পর গ্রামে ছড়িয়ে গিয়েছিল এমন রটনাই। একই দিনে এই জেলারই অন্যত্র আরও একটি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হওয়ায় জল্পনার পারদ চড়েছিল। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ধর্ষণ করে গলা কেটে খুন করা হয়েছে তরুণীকে। তদন্তের বিভ্রান্তি ছড়াতেই সিঁদুর মাখানো হয়েছে মৃতার সারা শরীরে।
পূর্ব মেদিনীপুরের দুই পৃথক জায়গায় দুই তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয় শনিবার সকালে। তমলুকের গড়কেল্লি গ্রামে অর্ধনগ্ন অবস্থায় সিঁদুরমাখা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিনে নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া গ্রাম থেকেও উদ্ধার হয় মুণ্ডহীন তরুণীর দেহ। দুই তরুণীরই পরিচয় জানা যায়নি এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত। একই জেলার দু'টি পৃথক জায়গায় একই ধরনের ঘটনার মধ্যে কোনও মিল রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিন সকালে তমলুকের পান বোরজের মধ্য পড়েছিল তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ। মৃতার যৌনাঙ্গ কাঠ দিয়ে ঢাকা ছিল। সারা শরীরে সিঁদুর মাখানো। একটি সিঁদুর মাখা কাপড়ও জড়িয়ে দেওয়া ছিল তরুণীর গায়ে। মৃতদেহটি ছিল মুণ্ডহীন। এ থেকেই গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে নরবলির আতঙ্ক। তারপর নন্দীগ্রামে ভেকুটিয়াতে আর এক মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হওয়ায় জল্পনার মাত্রা ছাড়ায় আরও।
দুই ঘটনারই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধর্ষণ করার পর খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। অন্যত্র খুন করেই ওই পান বোরজের মধ্যে দেহ ফেলে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই সারা শরীরে ও গায়ের জড়ানো বস্ত্রে সিঁদুর মাখানো হয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ। তরুণীর পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নন্দীগ্রামের ঘটনায় দেহটি খালে ভেসে এসেছে। বেশ কয়েকদিন আগেই খুন করে ওই দেহ খালে ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলে অনুমান। দু'টি ঘটনাতেই মিল এখানেই যে, দু'টি দেহেই মুণ্ড নেই। পুলিশের অনুমান, যাতে দেহ শনাক্ত করা না যায়, সেই জন্যই মুণ্ড অন্যত্র ফেলা হয়েছে। সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত এই হত্যার ঘটনা। তবে এ ছাড়া দুই ঘটনার মধ্যে বা দুই মৃতার মধ্যে কোনও মিল বা সম্পর্ক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।