করোনার মধ্যে মিড ডে মিলের বিতরণে অনিয়ম, দুই প্রধান শিক্ষকের শাস্তিমূলক বদলি
করোনার মধ্যে মিড ডে মিলের বিতরণে অনিয়ম, দুই প্রধান শিক্ষকের শাস্তিমূলক বদলি
করোনা প্রাদুর্ভাবে স্কুলগুলিতে ছুটি পড়ে যাওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী মিড ডে মিলের চাল-আলু বিতরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা মতো পড়ুয়া পিছু ২ কেজি চাল ও ২ কেজি আলু অভিভাবকদের সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশিকা অমান্য করায় দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শাস্তিমূলক বদলি করে দেওয়া হল।
অভিভাবকদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরাও উপস্থিত হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরই প্রশাসন কড়া বন্দোবস্ত নেয়। শাসিতমূলক বদলি করে দেওয়া হয় যাদবপুর বিদ্যাপীঠ ও কাটজুনগর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষককে। রাজ্য সরকার স্কুলগুলিতে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছিল। তারপর মিড ডে মিলের চাল ও আলু বিতরণ নিয়ে বিপত্তি বাধে।
২২ মার্চ রবিবার মিড ডে মিলের ওই কাজের তদারকিতে স্কুলে যেতে হয়েছিল। পরদিন অর্থাৎ সোমবার তা বিতরণ করা হয়। কলকাতার দুটি স্কুলকে দোষী সাব্যস্ত করে শিক্ষা দফতর। মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি দুটি স্কুলকে দোষী সাব্যস্ত করে চিঠি দেন। এবং ওই দুই স্কুলের প্রধানশিক্ষককে বদলি করে দেন।
ওই দুই প্রধান শিক্ষকের অপরাধ কেন ছাত্রছাত্রীরাও স্কুলে এসেছিল। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষকমহল। তাঁদের দাবি, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধই যদি উদ্দেশ্য ছিল, কেন চাল, আলু বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? ছাত্রছাত্রীদের সংক্রমণের ভয় থাকলে তো অভিভাবকদেরও থাকবে!
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্যকে পাঠানো হয়েছে রানি ভবানী হাইস্কুলে আর কাটজুনদরের প্রদানশিক্ষক কাজী মাসুম আক্রারকে পাঠানো হয়েছে বাগবাজারের হরনাথ হাইস্কুলে। উল্লেখ্য, মাসুম আখতার এ বার পদ্ম সম্মানে ভূষিত হন। এই ঘটনায় একাধিক শিক্ষক সংগঠন আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।