মমতার হুঁশিয়ারিতে থোড়াই কেয়ার, দুর্গাপুরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব!
তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্গাপুরে জিইয়ে থাকা সমস্যা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দুই নেতা বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত এদিন চরম আকার নেয়। এদিকে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এদিন দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে দুর্গাপুরের গ্র্যাফাইট ইন্ডিয়ার কারখানার সামনে।
কী কারণে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
এক সময় অবিভক্ত বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের রাশ ছিল প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। কিন্তু পরবর্তীকালে কংগ্রেস বিধায়ক থেকে তৃণমূলে যোগ দিলে বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি করা হয়।
প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষমতা
কিন্তু দুর্গাপুরের বেশিরভাগ কলকারখানাগুলিতেই প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীদের নিয়ে তৈরি কমিটিগুলি শ্রমিক সংগঠনের দেখভাল করে। বিশেষ করে দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় শ্রমিক সংগঠনের রাশ প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের হাতেই আছে।
সংগঠনের রাশ কার হাতে থাকবে?
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল ও শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক সংগঠনের রাশ কার হাতে থাকবে? তাই নিয়ে দীর্ঘদিন সংঘাত চললেও আশ্চর্যজনকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যস্তরের নেতা-নেত্রীরা একেবারেই নির্বাক। দলের তৃণমূল স্তরের কর্মীরা অনেকেই বলছেন অবিলম্বে প্রভাত চট্টোপাধ্যায় এবং বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে নিয়ে বৈঠকে বসে দু'জনকেই শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব ভাগ করে দিলে সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়।
মমতার হুঁশিয়ারিতেও ফল হয়নি
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তিনি আর মেনে নেবেন না বলেও জানিয়েছিলেন। তবে কোনও কারণে সেসব হুঁশিয়ারি সরিয়ে রেখে গোষ্ঠীকোন্দল চলছেই দুর্গাপুরে।
মোদী-শাহ জুটি গণতন্ত্রকে হত্যা করছে রাজস্থানে! রাজ্যসভা ভোটের আগে ফ্রন্টফুটে আক্রমণ অশোক গেহলটের