ফুটবল মাঠের লড়াই গড়াল দু’পাড়ায়! বোমাবাজি, পুলিশ-র্যাফে অগ্নিগর্ভ উস্তি
মাঠের লড়াই গড়াল দু’পাড়ার সংঘর্ষে। চলল বোমাবাজি, ভাঙচুর, মারধর। সামান্য খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার খণ্ডযুদ্ধ সামাল দিতে নামাতে হল বিশাল পুলিশ বাহিনী, র্যাফ।
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি। মাঠের লড়াই গড়াল দু'পাড়ার সংঘর্ষে। চলল বোমাবাজি, ভাঙচুর, মারধর। সামান্য খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার খণ্ডযুদ্ধ সামাল দিতে নামাতে হল বিশাল পুলিশ বাহিনী, র্যাফ। শেষমেশ পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
উস্তির মাদ্রাসা ঠেস এলাকার বিপ্লবী সংঘে ব্যবস্থাপনায় ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছি। মোট ১৬ দলীয় এই প্রতিযোগিতা চলছিল রবিবার থেকে। খেলা চলাকালীন এলাকার কিছু যুবক দাবি করে, তাঁদের আগে খেলতে দিতে হবে। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয়, এই অন্যায় দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তা নিয়েই বচসা বাধে দু'পক্ষের।
এরপরই এই বচসা গড়ায় মারধরে। স্থানীয় যুবকেরা দল পাকিয়ে ক্লাব ভাঙচুর করে। গোলপোস্ট ভেঙে খেলা পণ্ড করে দেয়। মারধর করা হয় ক্লাবের সম্পাদক আমজাদ শেখ ও অন্যান্য সদস্যদের। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করলে জাতীয় সড়কের উপর বোমাবাজি শুরু হয়ে যায়। এরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী গ্রামে পৌঁছয়। এলাকায় পুলিশি টহল শুরু হয়।
ক্লাব কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন এলাকার মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তাঁর ইন্ধনেই স্থানীয় যুবকরা চড়াও হয় খেলা পণ্ড করে দিতে আসে বলে অভিযোগ। তারা মাঠে ঢুকেই পায়ে পা তুলে ঝগড়া শুরু করে। ঝগড়া বাধিয়ে মারধরে উদ্যত হয়। প্রথমেই গোলপোস্ট ভেঙে দেয়। ক্লাবে ভাঙচুর চালায়। বাধা দিতে গেলে ক্লাব সম্পাদক ও সদস্যদের নিগ্রহ করা হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। তাতে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক রূপ নেয়। অবরোধ চলাকালীন দুই পাড়া আলাদা দল পাকিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শুরু হয় ইট বৃষ্টি। জাতীয় সড়কের দু-প্রান্তে দুই পাড়া। দুই পাড়ার মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। পুলিশি টহলের পর আপাত শান্ত হয় পরিবেশ।