ঘর ভাঙছে গুরুংয়ের! বৈঠকের আগে হঠাৎ মোর্চার দুই বিধায়ক মমতার বাড়িতে
নবান্নে পাহাড় নিয়ে সর্বদল বৈঠকের পরই আমূল বদলে গিয়েছে পাহাড়ের পরিস্থিতি। পাহাড়ের রাজনীতি দাঁড়িয়ে রয়েছে নয়া মোড়ে।
আর ঘর সামলাতে পারছেন না বিমল গুরুং! এবার তাঁর শিবিরের দুই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন পাহাড়-বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। রবিবার সটান মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে চিঠি দিয়ে আসেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিধায়ক অমর রাই ও রোহিত শর্মা। এই ঘটনায় পাহাড়-রাজনীতিতে নয়া জল্পনা। তবে কি শিবির বদল করতে চলেছেন মোর্চা বিধায়করা? নাকি দুই মোর্চা বিধায়কের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ বিমল গুরুংয়ের নয়া কৌশল?
নবান্নে পাহাড় নিয়ে সর্বদল বৈঠকের পরই আমূল বদলে গিয়েছে পাহাড়ের পরিস্থিতি। পাহাড়ের রাজনীতি দাঁড়িয়ে রয়েছে নয়া মোড়ে। মোর্চার প্রতিনিধি বিনয় তামাং পাহাড়ে ফিরে বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই মোর্চা দু-ভাগ হয়ে গিয়েছে। একদিকে বিমল গুরুং, অন্যদিকে বিনয় তামাং। দু-জনেই চান গোর্খাল্যান্ড। একজন হিংসার আগুন জ্বালিয়ে তা আদায় করে নিতে চান, অপর জন জান শান্তি আলোচনার মাধ্যমে গোর্খাল্যান্ড আদায় করতএই অবস্থায় ফের পাহাড় নিয়ে বৈঠক ১২ সেপ্টেম্বর উত্তরকন্যায়। মাঝে আর মাত্র একদিন। মোর্চা পাহাড়ে একেবারেই কোণঠাসা। এই অবস্থায় মোর্চার দুই বিধায়ক কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তাতে প্রস্তাব, তাঁদেরও পাহাড় বৈঠকে ডাকা হোক। কেননা বিধায়ক হিসেবে পাহাড় নিয়ে তাঁদেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দুই বিধায়কের এই কৌশল দু-টি কারণে হতে পারে। এক, তাঁরা মোর্চার হিংস্র রাজনীতি ছেড়ে এবার শাসক শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন। দুই, তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বিমল গুরুং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও বার্তা দিতে চাইছেন। হতে পারে এটা পাহাড় রাজনীতিতে গুরুংয়ের নয়া কৌশল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পাহাড় রাজনীতি একটা মোড়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। উত্তরকন্যায় মমতার পাহাড় বৈঠক সেই আঙ্গিকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে মোর্চার সাসপেন্ডেড নেতা বিনয় তামাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মোর্চাই দুই বিধায়ক নিজেরাই থাকতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। বিমল গুরুং এখন এই পাহাড় বৈঠকে অন্য কাউকে পাঠান কি না, সেদিকেই তাকিয়ে বাংলা।