বুলবুলের দাপট, বিদ্যাধরী নদীতে ট্রলার ডুবে দুজনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে সুন্দরবনের গোসাবা এলাকায় ছাইমারা দ্বীপে বিদ্যাধরী নদীতে ট্রলার ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের দুজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় আরও তিনজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ শমীক লাহিড়ীর।
তার অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের রাতে এফবি মৎস্যকন্যা নামের ট্রলার ডুবে যায়। তার তিনজন মৎস্যজীবী কোনও মতে উঠে আসে। কিন্তু বাকিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে জানানো হয় তার পরেও খোঁজ করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলীর উদ্যোগ নিয়ে বিদ্যাধরী নদীতে ট্রলার নিয়ে খোঁজ চালিয়ে রেনুপদ মুদি এবং লুত্ফর মীর নামে দুই মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও তিন জনকে খোঁজ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় ট্রলার ডুবে যায়। রবিবার উদ্ধার করা হয় সঞ্জয় দাসের দেহ। তারপরের দিন, সোমবার পাওয়া যায় মুজিবুর রহমানের ও অসিত ভুঁইঞার দেহ। এফবি চন্দ্রাণী নামের ওই ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনার জেরে নিখোঁজ রয়েছেন আরও পাঁচ জন মত্স্যজীবী। কাকদ্বীপে গিয়ে সঞ্জয় দাসের স্ত্রী ববিতা দাসকে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।